ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারিসে বাঁচামরার লড়াই পিএসজির

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

প্যারিসে বাঁচামরার লড়াই পিএসজির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মৌসুমে বার্সিলোনা থেকে নেইমারকে দলে টেনে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শিরোপার অন্যতম প্রধান দাবিদার ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। কিন্তু পথচলা বেশিদূর হয়নি ফরাসী জায়ান্টদের। এবারও চলমান আসরে ফেবারিট পিএসজি। কিন্তু কঠিন সেই পথ পেরুনোর শুরুতেই ধাক্কা খেতে হচ্ছে নেইমার-এমবাপেদের। এখন এমন অবস্থা যে, গ্রুপপর্বেই বাদ পড়ে যেতে পারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের এক নম্বর ক্লাবটি। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ‘সি’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পিএসজি। গ্রুপে ইংলিশ পরাশক্তি লিভারপুল ও ইতালির নেপোলি থাকায় ডেথে পরিণত হয়েছে। যেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন নেইমার-কাভানিরা। গ্রুপে ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ প্রতিটি দলের। এরপর চার দলের মধ্যে দুই দল টিকেট পাবে শেষ ষোালোর। বিদায় নিতে হবে বাকি দুই দলকে। বর্তমানে চারটি করে ম্যাচ শেষে তিন নম্বরে অবস্থান করছে পিএসজি। এমন অবস্থায় আজ রাতে ফিরতি লেগে লিভারপুলের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। ঘরের মাঠ প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ম্যাচটি জিতলে ভালমতোই পিএসজির নকআউট স্বপ্ন বেঁচে রইবে। কিন্তু ড্র কিংবা হেরে গেলে বাদ পড়ার সম্ভাবনা জোরালো হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের দুই সেরা তারকা নেইমার ও এমবাপের চোট নিয়ে চিন্তিত পিএসজি। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় চোট পাওয়ায় এখনও শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাননি তারা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দলের সেরা দুই তারকাকেই মাঠে নামিয়ে দিতে পারে পিএসজি। এমনটাই জানা গেছে। এই লিভারপুলের কাছেই এ্যানফিল্ডে ৩-২ গোলে হেরে এবার মিশন শুরু করেছিল পিএসজি। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে সার্বিয়ার রেড স্টার বেলগ্রেডকে হারাতে পারলেই সেরা ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাবে নেপোলির। ‘এ’ গ্রুপ থেকে পরবর্তী পর্ব অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে আছে স্পেনের এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। দল দু’টি আজ রাতে নিজ নিজ ম্যাচে না হারলেই নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত হবে। এমনকি হারলেও নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে সমীকরণের কারণে। এমন অবস্থায় ঘরের মাঠে এ্যাটলেটিকো খেলবে ফরাসী ক্লাব মোনাকোর বিরুদ্ধে। আর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডও নিজেদের মাঠে খেলবে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুগের সঙ্গে। এবার সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বার্সিলোনা। ‘বি’ গ্রুপ থেকে আগের রাউন্ডেই এ কৃতিত্ব দেখায় কাতালানরা। এ কারণে বাকি ম্যাচ দু’টি তাদের কাছে শীর্ষস্থান ধরে রাখার লড়াই। এই লড়াইয়ে আজ রাতে মেসিদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক হল্যান্ডের ক্লাব পিএসভি আইন্দহোভেন। চোট জর্জরিত হওয়ায় অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে সফরে গেছেন বার্সা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্ডে। গ্রুপের আরেক ম্যাচে লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম হটস্পার ও ইন্টার মিলান। চোট সমস্যায় জর্জরিত বার্সিলোনা শিবিরে যোগ হয়েছে নতুন দুশ্চিন্তা। দুই সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন আক্রমণভাগের তারকা লুইস সুয়ারেজ। লা লিগায় গত শনিবার রাতে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে ১-১ ড্র ম্যাচের পুরোটা সময় খেলেছিলেন উরুগুইয়ান তারকা। তবে পরে এখন পর্যন্ত লীগে ৯ গোল করা সুয়ারেজের ডান হাঁটুতে সমস্যা ধরা পড়ে। এছাড়া শনিবার ওয়ার্মআপের সময় ঊরুতে চোট পান ইয়াসপের সিলেসেন। তিন সপ্তাহ পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ডাচ এই গোলরক্ষককে। এর আগে বা হাঁটুর চোটে ছিটকে গেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফিনহো। তার পায়ে অস্ত্রোপচার করানো হবে। আর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া সার্জিও রবের্তোকে তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ১১ দিনে চারটি ম্যাচ খেলতে হবে বার্সাকে। সবমিলিয়ে সেরা স্কোয়াডের সাতজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে। এমন দুঃসময় শেষ কবে দেখেছে বার্সিলোনা। হয়তো কখনও দেখেইনি। তাই এ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই কোচ ভালভার্ডের। দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আর্থার মেলোও ভুগছেন ইনজুরিতে। কাফ ইনজুরির কারণে আইন্দহোভেন সফরে তাকেও দলে পাচ্ছে না বার্সা। বিকল্প খেলোয়াড় সের্জি সাম্পারও কাফ ইনজুরিতে। তাই ব্যাকআপ খেলোয়াড়ের জন্য আর্টুরো ভিদাল, কার্লেস এ্যালেনা, ম্যালকমদের সঙ্গে বাধ্য হয়েই বার্সিলোনা বি দল থেকে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে ডাকতে হয়েছে ভালভার্ডেকে। তবে বার্সিলোনার জন্য খুশির সংবাদও আছে। ইনজুরি কাটিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা ইভান রাকিটিচ ও ফিলিপ কুটিনহো।
×