ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ

ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট অর্থাৎ স্তনের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য সিলিকন ব্যবহার করে তাকে সুগঠিত ও আকর্ষণীয় করার যে পদ্ধতি তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। এক অনুসন্ধান কার্যক্রমের পর এই উদ্বেগের চিত্র উঠে আসে সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট বিষয়ে যেটি সেখানে সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট পদ্ধতি। বিবিসি গার্ডিয়ান। সাধারণত দুই ধরনের স্তন ইমপ্লান্ট করা হয়ে থাকে- স্মুথ ইমপ্লান্ট এবং টেক্সচার্ড ইমপ্লান্ট। ফ্রান্সে নারীদেরও এখন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ‘টেক্সচার্ড’ সিলিকন ইমপ্লান্ট ব্যবহার না করতে। কারণ কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখেছে- এর সঙ্গে বিরল এক ধরনের ক্যান্সার হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। ব্রিটিশ নারীরা এখনও এই ধরনের ইমপ্লান্ট করে স্তনকে নিটোল বা আকর্ষণীয় করে তুলছেন। এবং দেশটিতে এটি বন্ধের জন্য যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের কোনও সতর্কতামূলক নির্দেশনা নাই। ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত পণ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এমএইচআরএ)-এর মুখপাত্র বলেন, আমরা জানি সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ রয়েছে- আমরা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। এই পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ইমপ্লান্ট ব্যবহারের নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, এবং আমেরিকা ও ইউরোপে এক দশকের বেশি সময় ধরে তা ব্যবহৃত হচ্ছে। বিবিসির প্যানোরমা অনুষ্ঠান ইমপ্লান্ট নিয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে, সঙ্গে আছে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এবং দি গার্ডিয়ান পত্রিকা, ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা। জ্যানেট ট্রিলাওনির স্তন ক্যান্সার গত ২০ বছর ধরে। তার স্তন কেটে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এরপর টেক্সচার্ড ইমপ্লান্ট দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তার স্তন। এখন তার ডায়াগনোসিস চলছে। তার ব্রেস্ট ক্যান্সার নয় কিন্তু ইমিউন সিস্টেমে এক ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি স্কার টিস্যুতে এবং ইমপ্লান্টের কাছে তরলের মধ্যে পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। এই নারী বলেন, ‘এটা ভাবা আতঙ্কজনক ছিল যে আমি নিশ্চয়ই কিছু করেছি, যার কারণে এর আগে আমার ক্যান্সার হয়েছিল এরপর আবার নতুন করে ক্যান্সার দেখা দিল। আমি পুরোপুরি হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম এবং কোনও ধারনাই ছিলনা যে এমনটা ঘটতে পারে।’ জ্যানেট এখন আরও বায়োপসি রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন এবং তাকে বলা হয়েছে যে তার ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তাকে কেমোথেরাপি দেয়ার প্রয়োজন হবে।
×