মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনী ডামাডোলে এখন পুরোদেশ। আশ্রিত রোহিঙ্গারা যাতে এ নির্বাচন কেন্দ্রিক কোন তৎপরতায় অংশ নিতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর তৎপরতা বলবৎ করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামও শুক্রবার জানিয়েছেন, নির্বাচনের এ বিশাল কর্মযজ্ঞে আশ্রিত রোহিঙ্গারা থাকবে কঠোর নজরদারিতে।
উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে ১২ লক্ষাধিক আশ্রিত রোহিঙ্গার অবস্থান। রয়েছে ৩০ আশ্রয় শিবির। স্থানীয় অধিবাসীদের বাড়ি-ঘরের অদূরেই এদের অবস্থান। আগামী নির্বাচনে উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ৩ লাখ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে তৎপর থাকবে। এ সঙ্গে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পক্ষে যাতে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোন ধরনের অপকর্ম ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ইতোমধ্যে বৈঠক হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আশ্রিত রোহিঙ্গারা যেন নির্বাচনী প্রচার ও অন্য কোন কর্মকা-ে অংশ নিতে না পারে সে ব্যাপারে বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বলবৎ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম জানিয়েছেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক রোহিঙ্গারা যাতে কোন ধরনের তৎপরতায় অংশ নিতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি করতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।