ইভাঙ্কা ট্রাম্প গত বছর হোয়াইট হাউসের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কয়েক শ’ বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি ব্যক্তিগত ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন, ইমেইল সংক্রান্ত এক পর্যালোচনায় এমনটাই উঠে এসেছে। ইভাঙ্কার আইনজীবীরা বলছেন, নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগেই ট্রাম্পকন্যা ওইসব ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় তার বাবা প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে একই কাজের জন্য সমালোচনা করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে ‘যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদে ফেলেছেন’ বলেও অভিযোগ ছিল ট্রাম্পের। ওয়াশিংটন পোস্টের সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভাঙ্কার পাঠানো বেশিরভাগ ইমেইলেই ব্যক্তিগত ও দৈনন্দিন সাধারণ বিষয়াদি থাকলেও কোন কোনটি কেন্দ্রীয় নথি সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কন্যা ব্যক্তিগত ইমেইল এ্যাকাউন্ট থেকে যেসব বার্তা পাঠিয়েছেন তার কোনটিতেই ‘শ্রেণীবদ্ধ তথ্য’ ছিল না। মূলত নিয়ম সম্বন্ধে জ্ঞানের অভাবের কারণেই ইভাঙ্কা এ কাজ করেছিলেন বলে দাবি তার। বিষয়টি জানানোর পর থেকে ট্রাম্পকন্যা সরকারী কাজে আর কখনই ব্যক্তিগত ঠিকানা ব্যবহার করেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এ সাফাই মানতে রাজি নন আমেরিকান ওভারসাইট গ্রুপের অস্টিন এভারস। ‘তথ্যের স্বাধীনতা’ আইনের আওতায় এ গোষ্ঠীটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই হোয়াইট হাউসের কাছে গত বছর ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত ইমেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহারের বিষয়টি উন্মোচিত হয়। এভারস বলছেন, প্রেসিডেন্টের পরিবার আইনের উর্ধে নয়। ‘এখানে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেসের উচিত এসব দ্রুত খতিয়ে দেখা। আইন অনুযায়ী যেসব ইমেইল সংরক্ষিত রাখা দরকার ইভাঙ্কা কি সেগুলো উন্মোচন করেছেন? তিনি কি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শ্রেণীবদ্ধ তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন,’ বিবৃতিতে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন এভারস। -ওয়েবসাইট