কম্বোডিয়ায় গণহত্যার ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা একে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি সতর্ক করেছে যে, গণহত্যা করেছে এমন সর্বোচ্চ স্তরের ব্যক্তিদের তাদের অপরাধমূলক কর্মকা-ের জন্য ন্যায়বিচারের সম্মুখীন করা হবে। খবর এএফপির।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিথার নুয়ের্ত খেমার রুজ শাসনামলের দুই নেতার বিচারের সময় সাক্ষ্য দেয়া ব্যক্তিদের ও তাদের সাক্ষীদের সাহসের প্রশংসা করে এক বিবৃতিতে বলেন, এই গণহত্যার বিচার অন্য অপরাধীদের কাছে একটি বার্তা হোক।
রাষ্ট্রের সাবেক প্রধানসহ সর্বোচ্চ স্তরের যারাই এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- করবেন তা কখনই সহ্য করা হবে না। শেষ পর্যন্ত তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে। কম্বোডিয়ার এক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল খেমার রুজের সাবেক প্রধান খিউ সাম্পান (৮৭) ও ব্রাদার নম্বর টু নামে পরিচিত নুয়ন চিয়াকে (৯২) গণহত্যার দায়ে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করে তাদের আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছে। খেমার শাসন অবসানের প্রায় ৪০বছর পর ঐতিহাসিক এক রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। খেমার রুজের চার বছরের সন্ত্রাসীমূলক শাসনামলে দেশটির এক-চতুর্থাংশ লোক না খেতে পেয়ে, গণহত্যার শিকার ও অতিরিক্ত কাজের কারণে মারা গেছেন।
সম্প্রতি কম্বোডিয়ার প্রতিবাসী মিয়ানমার রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দুর্বৃত্তরা সেখানে অগ্নিসংযোগ করেছে। যা জাতিসংঘের তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পেরেছেন। তারা আরও জেনেছেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর সেনারা ও দুর্বৃত্তরা নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে। যদিও মিয়ানমার জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নিয়ে গিয়ে তদন্ত ও বিচারকাজ চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারে সমর্থন দিলেও আইসিসি স্বাক্ষর না করা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি। তারা গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্তের বিষয়টি সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মুক্ত তদন্তের ব্যাপারে আইসিসির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন হেগভিত্তিক অধিকার সংস্থাকে বলেছেন, যদি তারা কোন আমেরিকানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণ করেন তবে বিচারক ও অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং গ্রেফতার করা হবে।