ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফকে হারিয়ে সেমিতে আবাহনীর মুখোমুখি শেখ জামাল

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১০ নভেম্বর ২০১৮

 সাইফকে হারিয়ে সেমিতে আবাহনীর মুখোমুখি শেখ জামাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শেষ চারে নাম লিখিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারায় তারা। আগামী ২১ নযেম্বর (তারিখ পরিবর্তন হতে পারে) প্রথম সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর (যুগ্মভাবে সর্বাধিক ১০ বারের শিরোপাধারী) বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে জামাল। ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে (৩ খেলায় ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট) কোয়ার্টারে উঠে আসে জামাল। তারা ২-১ গোলে নোফেলকে হারায়। এছাড়া ১-১ গোলে ড্র করে বসুন্ধরা কিংস এবং মোহামেডানের সঙ্গে। পক্ষান্তরে ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফ (২ খেলায় ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট)। হারায় ৩-১ গোলে টিম বিজেএমসিকে এবং ৫-০ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে দুইদলই লড়াই করেছে সমান তালে। ২৯ মিনিটে আচমকাই গোল করে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। গোলের নেপথ্য কারিগর গাম্বিয়ান এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সলোমন কিং কানফর্ম। মাঝমাঠ থেকে তিনি লম্বা-উঁচু সেন্টার ফেলেন সতীর্থ স্বদেশী ফরোয়ার্ড সাইনেভ বোজাংয়ের উদ্দেশে। সাইফের ডিফেন্ডাররা বোজাংকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বোজাং সুকৌশলে অফসাইড-ট্র্যাপ কাটিয়ে বল নিয়ে দ্রুতগতিতে ঢুকে পড়েন সাইফের ডি-বক্সে। এদিকে বিপদ বুঝে সামনে এগিয়ে আসেন সাইফের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। সলোমনের দেয়া উঁচু বলটি মাটিতে পড়ার পর সেটি বুক দিয়ে রিসিভ করেই চলতি বলেই ডান পায়ের চমৎকার প্লেসিং শটে সাইফের জালে বল পাঠিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন বোজাং (১-০)। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠার আগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সিজদা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে নেন বোজাং। তার পরের মিনিটেই দলের ও নিজের গোল দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বোজাং। সতীর্থর কাছ থেকে লম্বা থ্রু পাস পেয়ে আবারও বক্সে ঢুকে পড়েন বোজাং। সাইফের গোলরক্ষক জিয়াও এগিয়ে আসেন। কিন্তু অতিরিক্ত গতির কারণে বল ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন বোজাং। এই ফাঁকে জামালের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাঁচান। ৬০ মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সে পাস দিয়েছিলেন বোজাং। পোস্টের খুব কাছে বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে মেরে দিয়ে নিশ্চিত গোল থেকে জামালকে বঞ্চিত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো পেরেজ। ৭১ মিনিটে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা আনে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। স্থানীয় মিডফিল্ডার জাভেদ খান প্রথমে হেডে বল নামিয়ে ছোট পাসে দেন সতীর্থ কলোম্বিয়ান ডিফেন্ডার ডেইনার করডোবাকে। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো উড়ন্ত শটে সরাসরি জামালের জালে বল পাঠান দেইনার। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি (১-১)। ৭৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের উড়ন্ত ক্রসের বল ক্লিয়ার করতে পারেননি সাইফের এক ডিফেন্ডার। প্রায় ফাঁকায় দাঁড়ানো বোজাং দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে আবারও এগিয়ে দেন শেখ জামালকে (২-১)। শেষ পর্যন্ত এই স্কোরলাইনেই সেমি নিশ্চিত করে জামাল। এখন দেখার বিষয়, সেমিতে তারা আবাহনীকে হারাতে পারে কি না।
×