ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাজিলিয়ান তরুণী প্রেমের টানে লাকসামে

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১০ নভেম্বর ২০১৮

  ব্রাজিলিয়ান তরুণী প্রেমের টানে লাকসামে

ব্রাজিলিয়ান তরুণী প্রেমের টানে বাংলাদেশী ছেলেকে ভালবেসে সুদূর ব্রাজিল থেকে বাবাকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। ব্রাজিলের নাগরিক ওই তরুণীর নাম জিওলিয়ানা মার্টিটি জিওরজিয়ানী (৩০), পেশায় তিনি ওই দেশের হাসপাতালে চাকরিরত। লাকসামের দোখাইয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আবদুর রব হিরার (৩৪) সঙ্গে প্রেমের টানে চলে আসেন বাংলাদেশে। হিরা একসময় বাহরাইন প্রবাসী ছিলেন। বাহরাইনে থাকাকালীন সময়ে চাকরির ফাঁকে ফাঁকে ২০১২ সালে ইংলিশ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন আবদুর রব। ওই সময় অনলাইনে পরিচয় হয় জিওলিয়ানার সঙ্গে। পরিচয়ের পর থেকে দুই জনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কথাবার্তা ও প্রেমের আলাপচারিতা চলতে থাকে। দুইজন দুইজনকে ভালবাসেন গভীরভাবে। জিওলিয়ানা খ্রীস্টানধর্মালম্বী আর আবদুর রব মুসলিম ধর্মালম্বী। জিওলিয়ানার বাবা জিআরলি পেশায় একজন ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। তার মায়ের নাম সিলজিয়া রিগনা। পেশায় তিনি একজন গৃহিণী। তাদের রয়েছে দুটি কন্যা সন্তান। দুই বোনের মধ্যে জিওলিয়ানা বড়। দীর্ঘদিন অভিসারে প্রেম করার সুবাধে দুইজনের মধ্যে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় একজন মুসলিম অপরজন খ্রীস্টান। আবদুর রব বাহরাইন থেকে ১ বছর পূর্বে দেশে আসেন। দেশে আসার পর কাগজপত্র ঠিক করে ব্রাজিল দূতাবাসে জমা দেন। কিন্তু ব্রাজিলে যাওয়ার ভিসা না পাওয়ায় জিওলিয়ানা তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকা এয়ারপোর্টে আসেন। প্রেমিক আবদুর রব প্রেমিকা জিওলিয়ানা ও তার বাবা জিআরলিকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করেন। ৩ নবেম্বর ঢাকায় একটি কাজী অফিসে মুসলিম রীতি অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর প্রেমিকের গ্রামের বাড়ি লাকসামের দোখাইয়া গ্রামে নিয়ে আসেন। ৬ নবেম্বর আবদুর রবের বাড়িতে বিবাহের অনুষ্ঠান হয়। ওই নববধূকে দেখার জন্য এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জমায় প্রেমিকের বাড়িতে। আবদুর রবের পিতা আবুল খায়ের জানান এ বিয়েতে তার মা, বড় ভাই ও বোনসহ সবাই খুশি। ব্রাজিলের মেয়ে আমার পুত্রবধূ হওয়ায় তাকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখনও আমার বাড়িতে ভিড় জমায়। ওইদিন রাতে নবদম্পতি গ্রাম থেকে চলে যান ঢাকা শহরে। বর্তমানে তারা ঢাকার গুলশানের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। আবদুর রব মুঠোফোনে জানান আমার স্ত্রী ও আমার শ্বশুর শীঘ্রই ব্রাজিলে ফিরে যাবেন। সেখানে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আমার কাগজপত্র জমা দেবেন। স্ত্রী জিওলিয়ানা জানান, বাংলাদেশ ইজ এ বিউটিফুল কান্ট্রি এ্যান্ড ওয়ান্ডারফুল কান্ট্রি। -মোঃ খলিলুর রহমান মজুমদার, লাকসাম থেকে
×