ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেশন কাপ ফুটবল ॥ ‘সি’ গ্রুপে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত আবাহনীরও, রাসেল ২-০ মুক্তিযোদ্ধা

মুক্তিযোদ্ধার বিদায়, শেষ আটে রাসেল

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১ নভেম্বর ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধার বিদায়, শেষ আটে রাসেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ আটে নাম লেখাল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেড। তাও এক ম্যাচ হাতে রেখেই। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ’-এর প্রথম ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রকে। এই জয়ে গ্রুপ ‘সি’ থেকে শেষ আট নিশ্চিত করেছে একবারের চ্যাম্পিয়ন ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল। এই জয়ে শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে গ্রুপের অন্য দল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীরও (যুগ্মভাবে সর্বাধিক ১০ বারের শিরোপাধারী)। আর এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ‘অল রেড’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধার। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল তারা। প্রথম খেলায় আবাহনীর হারার কারণে বুধবার মুক্তিযোদ্ধার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। সেই বাঁচা-মরার ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ কটি সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ২৪ মিনিটে গোলের একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে তারা। ডানপ্রান্ত থেকে নিচু ক্রসে বল দেন মুক্তিযোদ্ধার আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লু ফেমাসাস। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও খুব কাছ থেকে কোরিয়ান মিডফিল্ডার ইউসুকি কাতু গোল করতে পারেননি। তার নেয়া শটটি রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ৩৯ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার ফেমাসা ডানপ্রান্ত দিয়ে একক প্রচেষ্টায় ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ে শট নেন গোলমুখে। কিন্তু তার নেয়া শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে বাইরে গেলে গোলের দেখা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা। ৪২ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফেমাসাসের কাছ থেকে বল পেয়ে ইউসুকি কাতু ডান পায়ে শট নেন। তার নেয়া শট সরাসরি গোলরক্ষক ধরে ফেলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে যায় রাসেল। ৪৭ মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্নার ক্রসে ফরোয়ার্ড বিপলু আহমেদের নেয়া হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫২ মিনিটে ইয়ামিনের নেয়া কর্নার কিকে আলিসনের নেয়া হেড সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৫৮ মিনিটে রাসেলের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল উদুইনের নেয়া ডান পায়ের শট ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৬৮ মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। ডানপ্রান্ত থেকে ইউনুসা কামারার ক্রস থেকে বাল্লু ফেমাসাস গোলমুখে শট নিলেও তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলের দেখা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা। ৭০ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সিন এ্যান্থনির ভুলে গোল পেয়ে যায় রাসেল। শেখ রাসেলের বদলি খেলোয়াড় ফজলে রাব্বির লম্বা উঁচু পাসের বল মুক্তিযোদ্ধার সিন এ্যান্থনি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে রাসেলের রাফায়েল উদুইন বল ধরে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধার আগুয়ান গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেলের ডানদিক দিয়ে বল জালে ঠেলে দেন (১-০)। ৮৪ মিনিটে রাফায়েল উদুইন গোলের সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় ব্যবধান দ্বিগুণ করা হয়নি রাসেলের। ডি-বক্সের ভেতরে মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি রাসেলের নাইজিরিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ৯০+২ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে রাফায়েলের ছোট পাসে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে মুক্তিযোদ্ধার জাল কাঁপান রাসেলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এ্যালেক্স রাফায়েল (২-০)। এরপর খেলা শেষ হলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
×