ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে ঋষিপাড়া খাল দখল ॥ জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

রূপগঞ্জে ঋষিপাড়া খাল দখল ॥ জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৮ অক্টোবর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পিতলগঞ্জ মৌজার শতবর্ষী ঋষিপাড়া-মধুখালী খাল নামে পরিচিত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি জোরপূর্বক বালি ফেলে ভরাট করায় ও রাজউকের বালি গড়িয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে মধুখালী, গুতিয়াব, পিতলগঞ্জসহ ৫ গ্রামের লোকজনের বসতঘর, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক সময়ের ব্যস্ততম নৌপথ শীতলক্ষ্যা থেকে পিতলগঞ্জের ঋষিপাড়া হয়ে মধুখালী, গুতিয়াবো, কেয়ারিয়া, বাড়িয়া ছনি হয়ে বালু নদী পর্যন্ত স্থানীয় বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পানি প্রবাহের পথ শতবর্ষী ঋষিপাড়া মধুখালী খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। বিগত ৭ বছর যাবত ৫ গ্রামের লোকজনের নিচু জমির বসতঘর, ফসলি জমির ওপর জোরপূর্বক অনুমোদনহীন আবাসন কোম্পানি সোপান সিটি, আনন্দ পুলিশ হাউজিং আশালয়সহ বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল বালি ফেলে ভরাট করে দখলে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, পিতলগঞ্জ, গুতিয়াবো, কেয়ারিয়া মৌজা দিয়ে প্রবাহিত এ শতবর্ষী ঋষিপাড়া মধুখালী খালটিও ওই পক্ষ ভরাট করায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ বালি ভরাটের দখলে বাদ যায়নি পূর্বাচল উপশহরের ৩নং সেক্টর এলাকার ঠিকাদারও। তারা তাদের জমি উন্নয়নের সময় এ খালেই বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে। এতে মধুখালীর বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে আলী আহমেদগংয়ের ১১ বিঘা, গুতিয়াবোর আশকার আলীর ৪ বিঘা, মধুখালীর, সাক্তদ আলীর ছেলে হযরত আলী ও আনীস আলীর বসতঘরসহ ৫ বিঘা, দীল মোহাম্মদসহ স্থানীয় ৪০টি পরিবারের বসতঘর পানি আটকে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এসব পরিবারের লোকজন কাঠ ও বাঁশের সাকু দিয়ে নিজ বসতঘরে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। একই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সাগর বলেন, ৭ বছর যাবত খালটি বালি ফেলে ভরাট করায় পানি আটকে বাড়ি ঘর অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। এ পানি দীর্ঘদিন আটকে থাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ডেঙ্গুসহ নানা রোগবালাই বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, খালটিতে বালি ফেলে ভরাট করায় আমরা মধুখালী ও গুতিয়াবো এলাকার শতশত বাসিন্দা পানিতে আটকে কষ্টে জীবনযাপন করছি। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, শতবছরের পুরনো এ খালটি উদ্ধার করে স্থানীয় কৃষক ও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব করার।
×