ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সব শিরোপায় দৃষ্টি শেখ রাসেল ও সাইফের

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

 সব শিরোপায় দৃষ্টি শেখ রাসেল ও সাইফের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন মৌসুম সামনে রেখে অংশগ্রহণকারী দলগুলো দলবদল প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। বাফুফে ভবনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করছে। রবিবার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। সাইফ ও রাসেল মৌসুমের সবগুলো শিরোপা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। আর মুক্তিযোদ্ধা আগের মৌসুমের বেহাল অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীসহ ছয় ক্লাবের দলবদল সম্পন্ন হবে। দলবদল নিয়ে পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আশাকরি এবার লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এবার লীগে কোন দলের জন্যই শিরোপা জয় সহজ হবে না। সব দলের জন্য আমার শুভকামনা। ভাল দল গড়েও গেল কয়েক বছর সাফল্য পায়নি শেখ রাসেল। দলটি সর্বশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে পেশাদার লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়। শুধু তাই নয়, ওইবার ট্রেবল জিতেছিল দলটি। কিন্তু এরপর থেকে সঙ্গী শুধুই ব্যর্থতা। এবার সব ঝেড়ে ফেলে আবারও ট্রেবল জয়ের আশা তাদের। এ লক্ষ্যেই দল গড়েছে রাসেল। আগের মৌসুমের ১১ জন ফুটবলার ধরে রেখে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছে তারা। ডাগআউটে আনা হয়েছে কোচ সাইফুল বারী টিটুকে। এক মৌসুমের জন্য ৫০ লাখ টাকা পাবেন তিনি। যা বাংলাদেশের কোচদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। রাসেলের উল্লেখযোগ্য ফুটবলারদের মধ্যে আছেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষ, সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খান ও মিডফিল্ডার বিপুল আহমেদ। এরা চারজনই বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার। বিদেশীদের মধ্যে আছেন রাফায়েল অডোইন, এ্যালিসন উডোকো ও এ্যালেক্স রাফায়েল। দল নিয়ে শেখ রাসেলের ডাইরেক্টর ইনচার্জ ইসমত জামিল আকন্দ বলেন, দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে আমাদের দলটা বেশ শক্তিশালী। আমরা মনে করি আমাদের দলটা সেরা দলগুলোর একটা। শিরোপা জয়ই আমাদের লক্ষ্য। দলটির কোচ সাইফুল বারী টিটুরও একই প্রত্যাশা। তিনি বলেন, আমি সবার মুখে হাসি ফোটাতে চাই। ক্লাবকর্তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। সামনে ফেডারেশন কাপ তখনই দল নিয়ে যাচাই বাছাই করা যাবে। আমাদের দলটা অনেক ভাল, ব্যালেন্সড। আশা করছি এই দলটিকে নিয়ে অনেকদূর যাওয়া যাবে। আমরা ট্রেবল জয়ের লক্ষ্যেই খেলব। টিটু আরও বলেন, লক্ষ্য আছে সবকটি শিরোপা। তবে আমাদের ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। প্রথমে ফেডারেশন কাপ। এরপর পেশাদার লীগ। যা সবচেয়ে কঠিন। লীগের ফেবারিট দলের কাতারে নিজেদের রেখে নবাগত বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনীকেও রেখেছেন। তবে চারজন বিদেশী খেলার সুযোগ থাকায় যে কেউ ভাল করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতবার লীগে ষষ্ঠ হয়েছিল শেখ রাসেল। দলবল সম্পন্ন করেছে মুক্তিযোদ্ধাও। আগের মৌসুমে কোনরকমে অবনমন থেকে রক্ষা পায় মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত দলটি। এবারও খুব বেশি ভাল দল না হলেও কোচ আব্দুল কাইয়ুম সেন্টু চমক দেয়ার আশা করছেন। গতকাল সবার আগে দলবদল সম্পন্ন করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া তাদেরও অধিনায়ক। তাকে নিয়ে সমর্থকরা বাফুফে ভবনে জড়ো হন। গত মৌসুমে লীগে প্রথম নাম লিখিয়ে সব শিরোপা জয়ের ঘোষণা দিয়েছিল সাইফ পাওয়ারটেক প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবটি। যদিও প্রথম আসর তাদের জন্য সুখকর হয়নি। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধনীতা কাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল এবং লীগে হয়েছিল চতুর্থ। তবে প্রথম মৌসুমে তাদের বড় প্রাপ্তি ছিল এএফসি কাপে খেলা। গতবারের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে এবার ঘরোয়া ফুটবলে ভাল করার প্রত্যয় নিয়ে দল গড়েছে ক্লাবটি। নতুন মৌসুমের জন্য ৩২ ফুটবলারকে নিবন্ধন করিয়েছে তারা। এদের মধ্যে সর্বশেষ জাতীয় দলের খেলোয়াড় আছেন জামাল ভুঁইয়াসহ ৪ জন। অন্য তিনজন হচ্ছেন- ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল ও জাভেদ খান। এছাড়া চার বিদেশীই রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে ক্লাবটি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা নিঃসন্দেহে জামাল ভুঁইয়া। ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বও থাকছে এ ডেনমার্ক প্রবাসী মিডফিল্ডারের কাঁধে। রেজিস্ট্রেশন করতে এসে জামাল বলেন, আমাদের দলটি তারুণ্যনির্ভর। বেশি সিনিয়র খেলোয়াড় নেই। সবাই খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন। তারা সব টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। এবার বেশ কয়টি ক্লাব ভাল দল গড়েছে। এই বছর সবচেয়ে মজা হবে। এবার আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইট কববা আশাকরি। আসাম ও কলকাতায় প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে সাইফ স্পোর্টিং। এখন তারা ফেডারেশন কাপে চোখ রেখে নিজেদের প্রস্তুত করছেন।
×