ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র ফাঁদে এনসিএল

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১১ অক্টোবর ২০১৮

ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র ফাঁদে এনসিএল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র ফাঁদে পড়েছে সারাদেশ। সেই ফাঁদে পড়েছে জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল)। রাজশাহীতে শুধু রাজশাহী-রংপুর ম্যাচটি ভালভাবে চলতে পেরেছে। ম্যাচটিতে রংপুরের হয়ে লিটন কুমার দাস দ্বিশতক করেন। ঝড় তোলেন। লিটনের আগে রাজশাহীর জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন শতক। এছাড়া আর একটি ম্যাচও ঠিকমতো হয়নি। তবে খুলনায় জিয়াউর রহমান শতক করেছেন। প্রথম স্তর ॥ রাজশাহীতে রংপুর প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর রাজশাহীর শান্ত ও মিজানুর জোড়া শতক করে রাজশাহী স্কোর পাহাড়সম করে তুলেন। দ্বিতীয়দিন প্রথম ইনিংসে রাজশাহী ২ উইকেট হারিয়ে ৪১৯ রান করে ফেলেছিল। তৃতীয়দিন জুনায়েদ সিদ্দিকীও সেঞ্চুরি পান। তার ১৯৯ বলে ৬ চারে করা অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসের পরই ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। ৪ উইকেট হারিয়ে ততক্ষণে ৫৮৯ রান করে ফেলে রাজশাহী। রংপুর থেকে ৪৩৮ রানে এগিয়ে যায় রাজশাহী। এরপর ব্যাট করতে নেমে রংপুরের লিটন কুমার দাস দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দেখান। একাই ২০৩ রান করে আউট হন। ব্যাটিংটাও করেন ধুমধাড়াক্কা। ১৪২ বলে ৩২ চার ও ৪ ছক্কায় এই রান করেন লিটন। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১২১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরই এই দ্বিশতক করেন লিটন। তার ব্যাটিংয়ে লড়ছে রংপুরও। এখনও রংপুর ১১৯ রানে পিছিয়ে আছে। আজ চতুর্থদিনে ৭২ রান করা মাহমুদুল হাসান ও ২ রান করা সাজেদুল ইসলাম ব্যাট করতে নামবেন। রংপুর ২ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করে। যদি আজ উইকেট টিকিয়ে রাখতে পারে রংপুর তাহলে ম্যাচ ড্র করে বের হতে পারে। এই ম্যাচটিতে বৃষ্টি বিশেষ কোন বাগড়া করতে পারেনি। তাই ম্যাচটিও চলছে পুরোদমে। খুলনায় ধুকছিল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়দিন মোহাম্মদ মিঠুন (৭২) ও জিয়াউর রহমান (৪৬*) হাল ধরেন। তাতে বিপদমুক্ত হওয়ার পথেও থাকে খুলনা। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রান করার পর খুলনা ব্যাট করতে নেমে ৮৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। বিপদগ্রস্ত দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মিঠুন ও জিয়াউর। দুইজন মিলে দলকে ১৯৪ রানে নিয়ে যান। এই সময়ে মিঠুন আউট হন। এরপরও মনে হয়েছিল বিপদে পড়তে পারে খুলনা। কিন্তু জিয়াউর অসাধারণ ব্যাটিং করে দলকে লিড এনে দেন। তার ২৪৬ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় করা ১১২ রানে খুলনা ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান করে। ৫০ রানে এগিয়ে যায় খুলনা। মধ্যাহ্ন ভোজের পর জিয়াউর শতক করে আউট হতেই বৃষ্টি নামা শুরু হয়। দুপুর ১টায় খেলা যে বন্ধ হয়, আর চালু হয়নি। ম্যাচটি স্বাভাবিকভাবেই ড্র’র পথেই এগিয়ে গেছে। দ্বিতীয় স্তর ॥ কক্সবাজারে তো আগে থেকেই বৃষ্টির বাগড়া। চট্টগ্রাম ও সিলেট ম্যাচের বল তৃতীয়দিনেও মাঠে গড়ায়নি। দ্বিতীয়দিন বৃষ্টির জন্য খেলা হতে পারেনি। তাতে করে প্রথমদিনে যে চট্টগ্রাম ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করেছিল, খেলা সেই পজিশনেই আটকে আছে। তৃতীয়দিন শেষেও একই স্থানে আছে খেলা। ড্র নিশ্চিতই। ফতুল্লায় তৃতীয়দিন খুব বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। দুই ঢাকার লড়াইয়ে ঢাকা বিভাগকে প্রথম ইনিংসে ২০৬ রানে গুটিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রো। এরপর ব্যাট করতে নেমে সাদমান ইসলামের অপরাজিত ১৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান করে ঢাকা মেট্রো। তৃতীয়দিন ১০৬ রানে এগিয়ে থেকে ৩৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। এরপর ঢাকা বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করতেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা বিভাগ এখনও ১৩১ রানে পিছিয়ে আছে। ফতুল্লায় একটু খেলা চলে। আবার বন্ধ হয়। এমন অবস্থাই চলে। ১১টায় একবার খেলা বন্ধ হয়। আবার ১টায় শুরু হয়। আড়াইটায় বন্ধ হয়। আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ এনসিএলেও জেঁকে বসেছে।
×