ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কৈলাশ প্রসাদ গুপ্ত

ডেঙ্গু প্রতিরোধ

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ৪ অক্টোবর ২০১৮

ডেঙ্গু প্রতিরোধ

ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষ বাড়ে জ্যামিতিক হারে, খাদ্য বাড়ে গাণিতিক হারে। জ্যামিতিক হারে মানুষের বৃদ্ধির ফলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। ইংরেজীতে একটি কথা আছে ফুড গিভস এনার্জি। খাদ্য শক্তি জোগায়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিবছর এক বার অন্তত ৩১ চৈত্র বা ১ বৈশাখ কচি নিম পাতার ভাজি মানুষ খেত। কিন্তু এখন তাও খেতে পায় না। প্রতিদিন দুটি করে নিম পাতা (জাত নিম) সারা বছর খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে এবং মশার কামড়ে রোগ হবে না। বাংলাদেশের মতো পৃথিবীতে এত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ আর নেই। অবশ্যই পরিকল্পনা গ্রহণ করে জন্মহার ও মৃত্যুর হার কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাবার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনসংখ্যার ঘনত্ব কমিয়ে, চাপ কমিয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার জন্য, প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কবি বলেছেন, ‘যারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে আলো, তুমি কি তাহাদের করিয়াছ ক্ষমা, বাসিয়াছ ভাল?’ ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য নি¤œ লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ১। ডেঙ্গু জ্বর প্রাদুর্ভাবের একটি কারণ জলাবদ্ধতা, জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। ২। ড্রেন, নালা পরিষ্কার করতে হবে। ৩। বাড়ি, বাগান, অফিস আদালতে টবে-টায়ারে যে কোন পাত্রে জল জমতে দেওয়া যাবে না। ৪। ঢাকার খিলগাঁও, মানিক নগর, মুগদা, মান্ডা, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, শনির আখড়া, ডেমরা, ধলপুর, জুরাইন, ধোলাইপাড়, ডিএডি বাঁধের ভিতরে জলাবদ্ধতার জন্য প্রচুর নোংরা জল জমে মশার উৎপত্তি হয়। ৫। মশা নিধনের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৬। প্রয়োজনে অবশ্যই দিনে ও রাতে মশারি টাঙ্গাতে হবে। ৭। ব্যক্তিগতভাবেও মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফুলবাড়ী দিনাজপুর থেকে
×