ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দাম্পত্যে রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দাম্পত্যে রেকর্ড

জাপানীরা সবচেয়ে বেশি আয়ু পায়। তবে মাসাও মাতসুমতো ও মিয়াকো দম্পতি এবার আরও একটি ঘটনার জন্ম দিলেন। বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের রেকর্ড এখন তাদের ঝুলিতে। মাসাও মাতসুমতো ও মিয়াকো এক ছাদের নিচে টানা ৮০ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। এজন্য গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ তাদের সন্মাননা দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ১৯৩৭ সালে এই দম্পতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তখন অর্থ না থাকায় তারা বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারেনি। তবে তাদের ৮১তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে এই দুই দম্পতির পাঁচ মেয়ে, ১৩ নাতি-নাতনি ও অন্তত ২৫ জন প্রপৌত্র উপস্থিত ছিল। পাশাপাশি ছিল অনেক সাংবাদিক ও হাসপাতালের চিকিৎসক। আপনাদের এই দীর্ঘ দাম্পত্যের রহস্য কি ? জানতে চাইলে একগাল হেসে এক শ’ বছর বয়সী মিয়াকো বলেন, ধৈর্য। তিনি বলেন, ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতা থাকলে সবকিছুই সম্ভব। আমার মধ্যে প্রচুর ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতা রয়েছে। আবার এসবের পাশাপাশি সংসার ও স্বামীর প্রতি প্রকৃত ভালবাসা। একে অপরের প্রতি পারস্পরিক সম্মানবোধ সংসার টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে। অপরদিকে ১০৮ বছর বয়সী মাসাও মাতসুমতো বলেন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সংসার টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র। পাশাপাশি ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতা থাকতে হবে। এদিকে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য বিষয়ে জাপানের সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতার পাশাপাশি পারস্পরিক বিশ্বাস থাকাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস হারালে ও সহজে নিরাশ হয়ে পড়লে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। পারিবারিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। জাপানের মনোচিকিৎসক তিনা বি তেসিনা বলেন, আমার মনে হয় মিয়াকো ঠিকই বলেছেন। কারণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ধৈর্যক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্য দাম্পত্য জীবনের কোন সমস্যা আসলে স্বামী-স্ত্রী মিলে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাই সহজেই নিরাশ না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনা বি তেসিনা আরও বলেন, ধৈর্য ও সামর্থ না থাকলে মানুষ সুস্পষ্টভাবে চিন্তার ক্ষমতা ও সৃশনশীলতা হারিয়ে ফেলে। এজন্য যে কোন সমস্যায় ধৈর্য ধরে রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। বর্তমানে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে অবসর জীবনযাপন করছেন মাসাও মাতসুমতো ও মিয়াকো। জাপনে মানুষের গড় আয়ু এখন ৮৪ বছর। আর এই দম্পতির যৌথ বয়স ২০৮ বছর। বিসনেস ইনসাইডার অবলম্বনে।
×