করাচীতে সন্ত্রাস দমন আদালত (এটিসি) শুক্রবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী জাহরা শহিদকে হত্যার দায়ে মোহাম্মদ রশিদ ওরফে মাস্টার ও জাহিদ আব্বাস জাইদিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে।
আদালত ইরফান ও কলিমকে মুক্তি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণের অভাবে। পিটিআই নেতা ২০১৩ সালে করাচীর জাতীয় পরিষদ নির্বাচনী এলাকার পুনর্ভোট অনুষ্ঠানের আগে পিটিআইয়ের এ নেতাকে হত্যা করা হয়। রেঞ্জারদের প্রসিকিউটর বলেন, দোষী সাব্যস্ত দু’জনই মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) লন্ডনভিত্তিক গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এ হত্যায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এক প্যারেডে অপরাধীদের শনাক্ত করে। মামলার বিচারে বলা হয়, তারা করাচীতে পিটিআই নেতৃত্বে আতঙ্কে সৃষ্টির জন্য শহিদকে হত্যা করে। পুলিশ বলেছে, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র রাখার মামলায় রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। রশিদ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পিটিআই নেতা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। পুলিশ পরে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর জাহিদ আব্বাস জাইদিকে গ্রেফতার করে। পিটিআইয়ের একজন সিনিয়র নেতা শহিদকে ২০১৩ সালের ১৮ মে ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি এলাকায় তার বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়। পিটিআইয়ের এ প্রবীণ নেতাকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান জাহরা হত্যার জন্য এমকিউএমকে দায়ী করেন।-ডন অনলাইন