ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সতর্ক করল জাতিসংঘ

ভেনিজুয়েলায় অভিবাসী সমস্যা ভূমধ্যসাগরীয় সঙ্কটের মতো

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৬ আগস্ট ২০১৮

  ভেনিজুয়েলায় অভিবাসী সমস্যা ভূমধ্যসাগরীয় সঙ্কটের মতো

ভেনিজুয়েলায় অভিবাসী সমস্যা ভূমধ্যসাগরীয় সঙ্কটের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ২০১৫ সালে অভিবাসী পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছিল। অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে লাতিন আমেরিকান দেশটি থেকে লোকজন অভিবাসী হয়ে বিভিন্ন দেশে যেতে শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো এখন অভিবাসী আগমন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। বিবিসি। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বলেছেন, লাতিন আমেরিকা এখন সবচেয়ে বড় অভিবাসী সঙ্কট মোকাবেলা করছে। পরিস্থিতি অনেকটা ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মতো। পেরু শনিবার সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ শুরু করেছে। এর একদিন আগে ইকুয়েডরের একটি আদালত সে দেশের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা আরোপের নীতি বাতিল করে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি ভেনিজুয়েলান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র হওয়ায় মানুষ খাদ্য ও ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে পারছে না। দেশটির অনেকেই বলছেন চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় তারা এখন দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন এখনই সীমান্তের কাছাকাছি যেতে না পারলে দেশের ভেতরই তারা আটকা পড়ে যেতে পারেন। এ কারণে সবাই ছুটছে সীমান্তের দিকে। জোনাথন জাম্ব্রানো নামে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে অন্য অনেকের মতো সেও পেরু সীমান্তের দিকে পৌঁছানোর জন্য অন্যদের সঙ্গে পাঁচদিন ধরে হেঁটে চলেছে। শুক্রবার আড়াই হাজার ভেনিজুয়েলান পেরুর সীমান্তবর্তী ছোট শহরে পৌঁছেছে। আরও হাজার হাজার লোক ইকুয়েডরের প্রধান ক্রসিং পার হয়ে পেরু যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বলে এএফপি জানায়। নতুন আইন জারি হওয়ার আগেই তারা পেরু পৌঁছাতে চাইছে। নতুন আইন পাস হলে পাসপোর্ট ছাড়া তাদের পক্ষে যাওয়া কঠিন হবে। এখনও পর্যন্ত কেবল আইডি কার্ড দেখিয়েই ভেনিজুয়েলার লোকজন পেরু যেতে পারছে। তবে পাসপোর্ট ব্যবহারের বিষয়টি অবাধ চলাচলের আঞ্চলিক সমঝোতার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায় ইকুয়েডরের একজন বিচারক শুক্রবার হালনাগাদ পাসপোর্ট বহনের নিয়মটি বাতিল করেন। ভেনিজুয়েলা সংলগ্ন ব্রাজিলের রোরাইমা রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ করে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি মাসে আরও আগের দিকে ব্রাজিলের এক বিচারকের এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এসব কিছুর ফলে ভেনিজুয়েলাদের পক্ষে পেরু পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে উঠবে। গিয়ান্নেলা জারামিল্লো নামে পেরুর এক বাসিন্দা বলছিলেন, ‘ভেনিজুয়েলানদের দুর্দশায় আমরা ব্যথিত। কিন্তু একই সঙ্গে এইভেবে উদ্বিগ্ন যে তারা আমাদের কাজের ক্ষেত্রগুলো দখল করবে।’ জারামিল্লো পেরুর সীমান্ত শহরে একটি কাপড়ের দোকান চালান।
×