ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

খাজনা আদায় বেড়েছে ডিএসসিসির

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৪ আগস্ট ২০১৮

 খাজনা আদায় বেড়েছে ডিএসসিসির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মার্কেট, হাট, পার্ক ও পার্কিংসহ বিভিন্ন খাত থেকে খাজনা আদায় বেড়েছে। এই খাতগুলো থেকে খাজনা বাবদ আদায়কৃত টাকার বেশিরভাগই সংস্থাটির সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ তার দফতরের কয়েকজন কর্মচারী আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ ছিল। বর্তমানে সংস্থার তহবিলে এসব খাত থেকে আদায়কৃত জমা বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নজরদারি বাড়ালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাজনা আরও বাড়ানো সম্ভব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেট কাঁচাবাজার, কাপ্তানবাজার পশু জবাইখানা, শাহবাগের শিশুপার্ক, মতিঝিলের সিটি সেন্টারের কার পার্কিং, বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম সড়কের কার পার্কিং, দিলকুশা কার পার্কিং ও বাবুবাজার কার পার্কিং থেকে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যদিও এসব মার্কেট ও পার্কিংয়ের ইজারা বন্ধ রয়েছে। তিন বছরে কাক্সিক্ষত দরপত্র জমা না পড়ায় এই স্থানগুলো থেকে খাজনা আদায় করছে সিটি কর্পোরেশন। অভিযোগ রয়েছে, কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ও প্রভাবশালীদের কারণে টেন্ডারে সঠিক দরপত্র জমা পড়ছে না। এই কারণে খাস (খাজনা) আদায়ের জন্য কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো খাজনা আদায় করলেও অল্প কিছু টাকা কর্পোরেশনের তহবিলে জমা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন। জানা গেছে, আয়ের এসব উৎস নিয়ে ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগে বিশাল একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান ছিলেন সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (সদ্য বদলি হওয়া) কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন কর্মচারী জড়িত ছিলেন। ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, একসময় নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেট কঁাঁচাবাজার থেকে প্রতি বছর ইজারা বাবদ এক কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব পেত দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। বাজারটির ইজারাদার আশিকুর রহমান এই টাকা তুলে অন্তত ৫০ লাখ টাকা আয় করতেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ নবেম্বর থেকে বাজারটি আর ইজারা দেয়া হচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের দাবি, ইজারা আহ্বান করলেও গত তিন বছরের গড় মূল্যের চেয়ে কম দর ওঠায় আইনগতভাবে ইজারা দেয়া যাচ্ছে না। এ জন্য ডিএসসিসি নিজস্ব লোকজন দিয়ে খাজনা আদায় করছে।
×