ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অলিউর রহমান ফিরোজ

অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচার

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১৯ জুলাই ২০১৮

অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচার

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না। এখন প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতদিনিই সড়কের মৃত্যু মিছিল লম্বা হচ্ছে। তাতে করে কারও জীবন চিরতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কেউ আবার পঙ্গুত্ববরণ করে অন্যের কাঁধের বোঝা হচ্ছেন। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো- বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো। মোটরসাইকেল চালকরা অনেক সময় রাস্তায় জ্যাম থাকলে রাস্তা ছেড়ে ফুটপাথেও গাড়ি উঠিয়ে দেন। এতে পথচারীরা ফুটপাথ ধরে হাঁটতে পারে না। বেপরোয়া ও অনিয়মের মধ্যে গাড়ি চালাতে গিয়ে অযথা হর্ন বাজানোরও প্রবণতা লক্ষণীয়। এতে করে মারাত্মকভাবে শব্দ দূষণ ঘটছে। শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে অসুস্থ ও হার্টের রোগীরা। যে সড়কে যতটুকু গতি রয়েছে, গাড়ি চালাতে তা অবশ্যই মানতে হবে। নইলে ভয়াবহ দুর্ঘটরা যে কোন সময়ে হতে পারে। এখানে একটি কথা বলতে হয়, মোটরসাইকেল চালানোর জন্য। গাড়ীর কিছু নিয়ম-কানুন। মোটর সাইকেল নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করা আজরাইলের হাতে জান সোপর্দ করারই শামিল। কারণ, মহাসড়কে বেশি গতির যানবাহন ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচল করলে তখনই ঘটে বিপত্তি। বড় গাড়ির লুকিং গ্লাসে অনেক সময় ছোট মোটর সাইকেল ধরা পড়ে না। নিয়ম না মেনে ওভারটেক করাও বিপজ্জনক। তাই মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাছাড়া দুর্ঘটনায় হতাহতের বেশি কারণ হলো-নিয়ম মেনে কেউ গাড়ি চালায় না। মাথায় হেলমেট পরার কথা থাকলেও তা যথাযথ পালন করেন না মোটরসাইকেল চালকরা। বড় গাড়ি থেকে প্রাইভেটকারের চালকদেরও সিটবেল্ট বাঁধার নিয়ম রয়েছে। তারা এ ক্ষেত্রে গাফিলতির পরিচয় দিচ্ছেন। যত ধরনের খামখেয়ালিপনা আছে তা যেন গাড়ি চালকদের মধ্যে বিরাজমান। প্রশিক্ষিত একজন ড্রাইভারের যেমন থাকে গাড়ির চালানোর নিয়ম কানুন জানা, তেমনি থাকে কখন কিভাবে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ৮০ ভাগ চালকেরই কোন ধরনের প্রশিক্ষণ নেই, লাইসেন্স নেই। রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ থেকে
×