ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে ড্রাগন বাগান

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৪ জুলাই ২০১৮

সৈয়দপুরে ড্রাগন বাগান

প্রচুর পুষ্টি গুণসম্পন্ন ড্রাগন ফলের চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দুটি কৃষি ব্লকে ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ড্রাগন ফলের চাষ করে আশানুরূপ ফলনও মিলেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর এবং ব্রহ্মত্তর কৃষি ব্লকে চার চাষীর ড্রাগন ফলের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে একজন আদর্শ চাষী মোঃ আহসান-উল-হক বাবু। তিনি তার বাড়ি সংলগ্ন ৬০ শতক উঁচু জমিতে ড্রাগন বাগান করেছে। ফল চাষী আহসান-উল-হক বাবু জানান, মূলত ইন্টারনেটে কৃষি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে ড্রাগন ফলের বিষয়ে আমি জানতে পারি। আর তা জেনেই আমি ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হয়েছি। পরবর্তীতে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ড্রাগন ফল ও চাষাবাদ বিষয়ে আরও সম্যক ধারণা নিয়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলা থেকে ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করি। প্রথমে তিন শ’ সিমেন্টের পিলার তৈরি করে জমিতে স্থাপন করি। পরে এক একটি পিলারের পাশে ৪টি করে ড্রাগন ফলের চারা লাগানো হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে চারাগুলো লাগানো হয়। এরপর গাছ বড় হয়ে উঠলে পিলারের মাথায় গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার বেঁধে দেয়া হয়েছে। পিলার ও পরিত্যক্ত টায়ারে ভর করে ড্রাগন ফলের গাছগুলো বড় হতে থাকে। পরিমাণমতো জৈব সার প্রয়োগ ও যথাযথ যতœ ও পরিচর্যায় চারা লাগানোর ১১ মাসের মধ্যে গেল বছরে ড্রাগন বাগানে ফল আসে। তার বাগানে গত বছর প্রথম ধাপে ২৫ কেজি ড্রাগন ফল মিলেছে। যা তিনি তার নিকটাত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের খেতে দেন। আর দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ এ বছর তার বাগান থেকে ৭০ কেজি ড্রাগন ফল পেয়েছেন তিনি। তার বাগানে সর্বোচ্চ একটি ড্রাগন ফল ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। ওই সব ড্রাগন ফল ৪০০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার টাকার বিক্রি করেন তিনি। বাবু আরও বলেন, একটি ড্রাগন ফল গাছ ২০-২২ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। তার বাগানে প্রায় এক হাজার ২০০ ড্রাগন ফলের গাছ আছে। সে হিসেবে ড্রাগন ফল বাগানে তার যে ব্যয় হয়েছে তা অল্প কয়েক বছরের মধ্যে উঠে আসবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি ড্রাগন ফল বাগান করে অনেক লাভবান হবেন বলে জানান। ২১ জুন আহসান-উল-হক বাবুর বাড়ি সংলগ্ন ড্রাফন ফল বাগান পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ্ আলম। এ সময় নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কাসেম আযাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আফতাব হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ হোমায়রা মন্ডল, কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রহ্মত্তর কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার বাসুদেব দাসসহ অন্য কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। -তাহমিন হক ববী, নীলফামারী থেকে
×