ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আপত্তি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা

নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে বাধার মুখে মে

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৯ জুলাই ২০১৮

 নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা  নিয়ে বাধার মুখে মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে শনিবার তার নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে বাধার মুখে পড়েন। ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার যে নতুন পরিকল্পনা তিনি তৈরি করেছেন তার প্রতি দল ও ব্যবসায়ীদের সমর্থন আদায় করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। গার্ডিয়ান। এক শ’র ওপর ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা মে’কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন পরিকল্পনাটি কাজে আসবে না। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ইইউ বিরোধী রক্ষণশীল এমপিরা এই বলে তাকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে এ ধরনের পরিকল্পনার চেয়ে কোন চুক্তি না করাও ভাল। মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে নিয়ে শুক্রবার মে দিনভর আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা ঠিক করেন। ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, ব্রাসেলসে ইইউ নেতৃবৃন্দও মে’র নতুন পরিকল্পনার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ নাও দেখাতে পারে। পরিকল্পনাটি করা হয়েছে ‘কাস্টম এ্যারেঞ্জমেন্টের’ ভিত্তিতে। এতে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করা এবং যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ইইউর সাধরণ আইন মেনে চলবে। মে’র সব মন্ত্রী এখন পর্যন্ত পরিকল্পনাটির প্রতি তাদের সমর্থন জানাননি। মে ও তার কর্মকর্তারা মন্ত্রী ও এমপিদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যেসব মন্ত্রী পরিকল্পনাটির বিরোধিতা করছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন এই ব্যবস্থা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও ব্যয় বাড়াবে। প্রেট, ওয়াটারস্টোন, জুপলা, নেট এ পোর্টার, ডোমিনো, ইয়ো ও জ্যাক উইলসের প্রতিষ্ঠাতাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, মে যে কাস্টম ব্যবস্থার কথা বলেছেন সেটি যুক্তরাজ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাড়াবে। ইনোসেন্ট ড্রিঙ্কের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড রিড শনিবার রাতে চিঠিটি প্রকাশ করেন। যুক্তরাজ্য যেন পূর্ণ কাস্টম ইউনিয়ন সদস্যপদ পেতে পারে সে জন্য তারা এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান। পরিকল্পনাটি যখন বিল আকারে পার্লামেন্টে উত্থাপিত হবে তখন এমপিরা যেন তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন, ব্যবসায়ী নেতারা সেকথাই মনে করিয়ে দেন। টোরি এমপি ও ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপের (ইধারজি) প্রধান জ্যাকব রিস মগ প্রশ্ন তুলেছেন কাস্টম ইউনিয়নে থাকলে ব্রেক্সিটের প্রয়োজন আছে কি না। উল্লেখ্য, মগ একজন ব্রেক্সিটপন্থী এমপি হিসেবে পরিচিত। টোরি দলের অপর এমপি এ্যান্ড্রিয়া জেনিকিনস বলেন, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি ব্যবসা করার জন্য ইইউর কাছ থেকে আইন গ্রহণ করতে হয় তা হবে খুবই হতাশাব্যঞ্জক বিষয়।
×