ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পিয়ংইয়ংকে এখনও হুমকি মনে করে ওয়াশিংটন

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৪ জুন ২০১৮

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে ‘অস্বাভাবিক পরমাণু অস্ত্রের ঝুঁকি রয়েছে।’ যদি তিনি চলতি মাসে আরও আগের দিকে উনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসার পর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন। এএফপি। ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠকের পরদিন ট্রাম্প টুইটারে লিখেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার থেকে আর কোন পরমাণু হামলার হুমকি নেই। আরামে ঘুমান’। ট্রাম্প-উন বৈঠকের পর কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু শুক্রবার ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে কংগ্রেসে একটি নোট পাঠিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় ওই নিষেধাজ্ঞা প্রথম আরোপ করা হয়। ট্রাম্পের পাঠানো নোটে বলা হয়, ‘কোরিয়া উপদ্বীপে পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের বাস্তব প্রমাণ ও ঝুঁকি, ব্যবহারযোগ্য পরমাণু উপকরণের উপস্থিতি এবং উত্তর কোরিয়া সরকার অস্বাভাবিক ও বিশেষ ধরনের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে আমি জাতীয় জরুরী অবস্থা আরও এক বছর বাড়াতে চাই।’ যদিও নোটটি পূর্বনির্ধারিত নোটের ধারাবাহিকতায় লেখা হয়েছে কিন্তু এর মধ্য দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের বিষয়ে ওয়াশিংটনের হতাশার ফুটে ওঠেছে। ট্রাম্পের জারি করা নতুন নির্দেশ মতো উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও একবছর অব্যাহত থাকবে। এক দশক আগে জর্জ ডব্লিউ বুশ নিষেধাজ্ঞাটি প্রথম আরোপ করেন। এরপর বারাক ওবামার সময়ে এর মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়। এতে উত্তর কোরিয়ার শাসকবর্গ ও ক্ষমতাসীন দলের যেকোন মার্কিন সম্পদ হস্তান্তর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোয় এ সময়ের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার শাসকবর্গ যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা তাদের কোন সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর পিয়ংইয়ংয়ের ওপর বহাল থাকা অন্যান্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চেয়ে এটি ভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা। ট্রাম্প ও মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আরোপ করা সবগুলো নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। আলোচনা সাপেক্ষে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে উন যদিও বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে রাজি হয়েছেন। তবে সমালোচকরা বলছেন দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় ভাষায় অনেক অস্পষ্টতা আছে। এছাড়া সমঝোতাটি উত্তর কোরিয়ার জন্য আইনগত বাধ্যতামূলক নয়। তাই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ঐক্য দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
×