ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবাহনী-মোহামেডানের শুরু জয় দিয়ে

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২ জুন ২০১৮

আবাহনী-মোহামেডানের শুরু জয় দিয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স হকি লীগের প্রথমপর্বের যবনিকাপাতের দু’দিন বিরতির পর আরম্ভ হয়েছে দ্বিতীয়পর্ব তথা সুপার ফাইভের খেলা। শুক্রবার থেকে। ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে সুপার ফাইভের উদ্বোধনী দিনেই খেলতে নামে দুই ‘জায়ান্ট’ এবং প্রতিষ্ঠিত-ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড এবং ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। তবে পরস্পর মোকাবেলা করেনি তারা। খেলে ভিন্ন ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে সর্বাধিক পাঁচবারের শিরোপাধারী আবাহনী ৪-০ গোলে হারায় সোনালী ব্যাংক স্পোর্টস এ্যান্ড রিক্রিয়েশন সেন্টারকে। অপর ম্যাচে মোহামেডান ৫-১ গোলে হারায় এ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। লীগের প্রথমপর্বে ৬ পয়েন্ট খোয়ানোয় আবাহনীর লীগে শিরোপা জেতার সম্ভাবনা প্রায় শেষ। তবে কাগজে-কলমে ক্ষীণ সম্ভাবনাটা আছেই। সেটা হলো সুপার ফাইভের সব ম্যাচেই জিততে হবে তাদের। সেই সঙ্গে কামনা করতে হবে মেরিনার-মোহামেডানের হারের। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার সুপার ফাইভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতে নিজেদের কাজ সেরে রাখলো ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। লীগের প্রথমপর্বের মোকাবেলাতেও সোনালী ব্যাংককে ৯-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। শুক্রবারের এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট হলো আবাহনীর। দশম জয় তাদের। সমান ম্যাচে সোনালী ব্যাংকের এটা চতুর্থ হার। পয়েন্ট ২৪। প্রচ- বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর (বিকেল সাড়ে ৩টায়) শুরু হয় নির্ধারিত প্রথম ম্যাচ। যদিও পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী মোহামেডানই প্রথম টার্ফে নামার কথা ছিল। তবে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সূচী পাল্টে গিয়ে প্রথম ম্যাচে আবাহনীর মুখোমুখি হয় সোনালী ব্যাংক। এই ম্যাচে আবাহনী পিসি পায় ৬টি, সোনালী ব্যাংক ১টি। ১৯ মিনিটে সোহানুর রহমান সবুজের ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মাহবুব হারুনের শিষ্যরা। আহমেদ তাজউদ্দিনের পুশ তাহের আলী স্টপ করার পর দারুণ হিটে লক্ষ্যভেদ করেন সবুজ (২-০)। এটি এই ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোল। ৩০ মিনিটে মোহাম্মদ মহসিনের ফিল্ড গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিশ্রামে যায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও এক গোল করে ম্যাচ জেতা প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলে আবাহনী। ৪০ মিনিটে কৃষ্ণ কুমারের পুশ সারোয়ারের স্টপ করার পর হিট করেন খোরশেরুর রহমান। ডিফেন্ডার বল ফিরিয়ে দিলেও সার্কেলের ভেতরে থাকা তাজউদ্দিন বল পোস্টে ঠেলে দিলে ৪-০তে এগিয়ে যায় আবাহনী। ৫০ মিনিটে আবারও একটি পিসি পায় আবাহনী। কিন্তু কৃষ্ণ কুমারের পুশ রোমানের স্টপ সোহানুর রহমান সবুজের হিট ব্যর্থ হয়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি পিসি ব্যর্থ হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ করে আবাহনী। ম্যাচ শেষে আবাহনীর কোচ মাহবুব হারুন বলেন, ‘এর আগে আমরা আরও বড় ব্যবধানে জিতেছিলাম। আজকে সবাইকেই অদল-বদল করে খেলিয়েছি। এই ম্যাচে ৪-০। রেজাল্ট একটু ডাউন হয়েছে। তবে ম্যাচের ফলাফল ভালই বলা যায়।’ এবারের লীগে প্রথমপর্বে দুই ম্যাচে হারের কারণে শিরোপা স্বপ্ন বলতে গেলে শেষই আবাহনীর। তবে এখনই হিসেব নিকেশের প্রসঙ্গে যেতে চাইছেন না হারুন। বাকি সব ম্যাচে জয়ই এখন তার একমাত্র লক্ষ্য। অপর ম্যাচে বলতে গেলে হেসে-খেলেই জয় কুড়িয়ে নেয় চারবারের প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। লীগের প্রথমপর্বেও তারা ৪-০ গোলে হারিয়েছিল এ্যাজাক্সকে। পিসি থেকে ম্যাচে লিড নেয় মোহামেডান। শামশের সিংয়ের পুশ কামরুজ্জামান রানা স্টপ করার পর অরবিন্দর সিং পুনিয়ার হিটে গোল পায় সাদা-কালোরা (১-০)। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গুরজিন্দর সিং (২-০)। ২৪ মিনিটে রাসেল মাহমুদ জিমির পাস থেকে ডানপ্রান্ত থেকে নাসির বল ঠেলে দেন পোস্টে (৩-০)। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গুরজিন্দরের রিভার্স হিট আবারও খুঁজে নেয় প্রতিপক্ষের পোস্ট (৪-০)। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের ধারা অব্যাহত রাখে মোহামেডান। গুরজিন্দর সিং ফিল্ড গোল করে তার হ্যাটট্রিক পূরণ করেন (৫-০)। খেলা শেষ হবার কয়েক মিনিট আগে লক্ষীন্দর সিংয়ের পিসি গোলে ব্যবধান কিঞ্চিৎ কমায় এ্যাজাক্স (১-৫)।
×