ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান রাজি থাকলে ভারত না বলবে না

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৮ মে ২০১৮

পাকিস্তান রাজি থাকলে ভারত না বলবে না

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তান আলোচনায় বসতে রাজি থাকলে এবং এ বিষয়ে উদ্যোগী হলে ভারত না বলবে না। তিনি বলেছেন, ভারত আলোচনার বিরোধী নয় তবে ইসলামাবাদকে অনুপ্রবেশ বন্ধের মতো বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে দুদেশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ‘যৌথ উদ্যোগ ’ নিতে পারে বলে তিনি জানান। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সানডে এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাতকারে রাজনাথ সিং বলেন, ‘পাকিস্তান কথা বলতে আগ্রহী হলে আমরা কেন বলব না। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে তাদেরও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তারা আমাদের সীমান্তে গুলি ছুড়ছে। অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে ও সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। এই পথে সমাধান হবে না। বরং এই ধারাকেই এক দিন সংশোধন করতে হবে।’ তিনি একথাও স্বীকার করেন যে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী পাঠিয়ে কাশ্মীরে কাক্সিক্ষত পরিস্থিতি আসেনি। রাজনাথ সিং বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকলে সরকার শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং রমজানের পরও অস্ত্রবিরতির মেয়াদ সম্প্রসারিত করতে রাজি আছে। পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে আমরা অস্ত্রবিরতি পালন করছি। কিন্তু আপনারা অস্ত্রবিরতির লঙ্ঘনের প্ররোচনা দিচ্ছেন। কাশ্মীরে আমাদের মুসলিম ভাইবোনরা রমজান মাসে শান্তিতে থাকুক সেটি আপনারা চাননা। কাশ্মীরীদের জন্য পাকিস্তানের কোন সহানুভূতি নেই। তারা আমদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে পারত। এটি এমন এক পদক্ষেপ কাশ্মীরের লোকজন পর্যন্ত তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। পাকিস্তান কাশ্মীরকে কেবল নিজেদের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, আলোচনায় বসতে হলে পাকিস্তানকে আগে অনুপ্রবেশ ঘটানো বন্ধের মাধ্য সদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে। পাকিস্তানকে আগে ঘোষণা দিয়ে এটি বন্ধ করতে হবে। এরপর যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে হবে। আন্তরিকতা থাকলে এ কাজটি তারা করবে। রাজনাথ সিং বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল সবই করেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন এর বাইরে আর কি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল। আটল বিহারি বাজপেয়ী পাকিস্তানগামী বাস চালু করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সব প্রটোকল ভেঙ্গে পাকিস্তানে গেছেন। আমরা আর কি করতে পারি ? পাকিস্তান কি আমাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারছে না। তাহলে কেন তারা আলোচনায় আসছে না।’ পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় কোন মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই। কাশ্মীর ও কাশ্মীরের জনগণ আমাদের এবং তারা আমাদেরই থাকবে।
×