ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মন্টিভিডিও টু মস্কো

বিশ্বকাপকথন-১৭ ॥ পঞ্চদশ বিশ্বকাপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৯৪

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২৩ মে ২০১৮

বিশ্বকাপকথন-১৭ ॥ পঞ্চদশ বিশ্বকাপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৯৪

অনেক ঘটন-অঘটনের পর শেষ হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৫তম আসর। বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৫তম আসরের আয়োজক ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকায় সকারের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন। কেননা আমেরিকায় সকারের চেয়ে রাগবি ফুটবলের জনপ্রিয়তা বেশি। তাছাড়া আমেরিকা ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল। সে হিসেবেও সে দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা ফিফার নৈতিক দায়িত্বও বটে। বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৫তম আসর শুরুর আগে অনেকে ভেবেছিল, আমেরিকায় বিশ্বকাপ তেমন একটা জমবে না। বাস্তবটা হয় তার উল্টো। বরং বলা যায়, অন্য অনেক বিশ্বকাপের চেয়ে আমেরিকা বিশ্বকাপ ছিল আরও বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ও উত্তেজনায় ভরা। তবে সে ভাবনা নিহায়ত নিছক বলা যাবে না। যে দেশের প্রধান খেলা রাগবি, বাস্কেটবল, এ্যাথলেটিক্স, সাঁতার সে দেশে সকারের সাফল্য ভাবাই কঠিন। আমেরিকায় সকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ছিল বললেই চলে। তারপরও নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে সফলভাবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৫তম আসর শেষ করে আমেরিকানরা। তারপরও বিশ্বকাপ ফুটবলের আলোচনা এলেই আমেরিকার নাম আপনিতেই এসে যায়। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে তারা গ্রুপ পর্বে বেলজিয়ামকে ৩-০ ও প্যারাগুয়েকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে চমক দেখিয়েই থেমে থাকেনি। ১৯৩৮ সালে অংশ নেয়া ছাড়াও ১৯৫০ সালে তারা ফুটবলের জনক ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে সারা ফুটবলবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দেয়। বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৫তম আসরের আয়োজক হবার জন্যে ২২টি দেশ আবেদন করে। ফিফার ১৬৯ সদস্য দেশের ১৪৩ দেশের ভোটে আমেরিকা আয়োজক নির্বাচিত হয়। এবারেও ২৪টি দেশ মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অঞ্চল ভিত্তিক দলগুলো হলো : ইউরোপ : জার্মানি, ইতালি, চেকোশ্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্পেন, যুগোশ্লাভিয়া, রাশিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, বলিভিয়া, নরওয়ে, গ্রিস, বুলগেরিয়া, আয়ারল্যান্ড; কনমোবল : ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া; কনকাকাফ : যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো; আফ্রিকা : ক্যামেরুন ও মরক্কো; এশিয়া; দ. কোরিয়া ও সৌদি আরব চতুর্দশ বিশ্বকাপে অংশ নেয়। বাছাই পর্বের দেয়াল টপকানো ২২ দেশের সঙ্গে স্বাগতিক আমেরিকা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি অংশ নেয়। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে শক্তিশালী ইংল্যান্ড, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, চেকোশ্লাভাকিয়া, অস্ট্রিয়া, যুগোশ্লাভিয়া, কোস্টারিকা, মরক্কো, মিসর, ঘানা, ইরাক, জাপান, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, আমিরাত, কানাডা অপ্রত্যাশিতভাবে বাছাই পর্বে বাদ পড়ে। এশিয়া থেকে আমিরাতের জায়গায় খেলে সৌদি আরব। খেলা হয় আগের নিয়মে। অংশগ্রহণকারী ২৪ দল গ্রুপ পর্বে অংশ নেয়। প্রথম পর্বের শীর্ষ ১৬ দল দ্বিতীয় পর্বে খেলে। দ্বিতীয় পর্বের শীর্ষ ৮ দল কোয়ার্টার ফাইনাল ও কোয়ার্টারে বিজয়ী ৪ দল সেমি-ফাইনাল এবং সেমিতে বিজয়ী দুই দল ফাইনাল খেলে। বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৫তম আসরের চূড়ান্ত পর্বের দল : ক গ্রুপ : ইতালি, অস্ট্রিয়া, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, রুমানিয়া ও সুইজারল্যান্ড; খ গ্রুপ : টপ ফেবারিট ব্রাজিল, রাশিয়া, সুইডেন ও ক্যামেরুন; গ গ্রুপ : চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, স্পেন, বলিভিয়া ও দ. কোরিয়া; ঘ গ্রুপ : ফেবারিট আর্জেন্টিনা, গ্রিস, বুলগেরিয়া ও নাইজেরিয়া; ঙ গ্রুপ : ইতালি, মেক্সিকো, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড; চ গ্রুপ : হল্যান্ড, বেলজিয়াম, মরক্কো, সৌদি আরব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এবারেও আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। বিশ্বকাপের একটা রেওয়াজই হয়ে দাঁড়ায় বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের। এটি বিশ্বকাপের একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ইউরোপের দুই দল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি বনাম বলিভিয়া। জার্মানরা প্রত্যাশিতভাবে জিতে যায়। যদিও গোলের ব্যবধান ছিল ১-০। যাকে বলা হয় কষ্টার্জিত জয়। বিশ্বকাপের আগে জার্মানদের যতটা ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল খেলা শুরুর পর তা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। উদ্বোধনী ম্যাচে জার্মান তারকা জর্গেন ক্লিন্সম্যান একমাত্র গোল করে দলের মান বাঁচান। গ্রুপ পর্বের লড়াইটাও সহজ ছিল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, হল্যান্ড, নাইজেরিয়া, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো, স্পেন, সুইডেন, রুমানিয়া, আয়ারল্যান্ড ও সৌদি আরব প্রথম পর্বের দেয়াল অতিক্রম করে। ব্রাজিলের মতো দলকেও সুইডেনের সঙ্গে ড্র করতে হয়। ইতালি ও আর্জেন্টিনার মতো দলকেও তৃতীয় দল হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হয়। দ্বিতীয় রাউন্ডের অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত পায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনা তো রুমানিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে। এশিয়ার প্রতিনিধি দ. কোরিয়া প্রথম পর্বের দেয়াল টপকাতে না পারলেও অপর প্রতিনিধি সৌদি আরবের দৌড়ও থেমে যায় সুইডেনের কাছে হেরে। তবে তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেই কৃতিত্ব দেখায়। আফ্রিকার সিংহ খ্যাত ক্যামেরুন প্রথম রাউন্ডে দুঃখজনকভাবে বিদায় নেয়ার পর দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিটকে পড়ে নাইজেরিয়া। তবে নাইজেরিয়ার খেলা অনেকদিন দর্শক মনে রাখবে। দ্বিতীয় রাউন্ডের দেয়াল টপকে কোয়ার্টারে পৌঁছায় ব্রাজিল, ইতালি, জার্মানি, বুলগেরিয়া ও সুইডেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও রুমানিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে উৎরে যায় ব্রাজিল, ইতালি, বুলগেরিয়া ও সুইডেন। সেমি-ফাইনালেও সেই কষ্টার্জিত জয়। ইতালি ২-১ গোলে হারায় বুলগেরিয়াকে এবং ব্রাজিল আবার সেই টেনেটুনে ১-০ গোলে জেতে সুইডেনের বিপক্ষে। এ বিশ্বকাপে বুলগেরিয়ার উত্থান সবার চোখে পড়ে। তাদের খেলা ছিল পুরোই অসাধারণ। গ্রুপ পর্বের ফলাফল : গ্রুপ-এ : যুক্তরাষ্ট্র-১ সুইজারল্যান্ড-১; রুমানিয়া-৩ কলম্বিয়া-১; সুইজারল্যান্ড-৪; রুমানিয়া-১; যুক্তরাষ্ট্র-২ কলম্বিয়া-১; রুমানিয়া-১ যুক্তরাষ্ট্র-০; কলম্বিয়া-২; সুইজারল্যান্ড-০; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : রুমানিয়া গ্রুপ রানার্স আপ : সুইজারল্যান্ড। গ্রুপ-বি : সুইডেন-২ ক্যামেরুন-২; ব্রাজিল-২ রাশিয়া-০; ব্রাজিল-৩ ক্যামেরুন-০; সুইডেন-৩ রাশিয়া-১; ব্রাজিল-১ সুইডেন-১; রাশিয়া-৬ ক্যামেরুন-২; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : ব্রাজিল গ্রুপ রানার্স আপ : সুইডেন। গ্রুপ-সি : জার্মানি-১ বলিভিয়া-০; স্পেন-২ দ. কোরিয়া-২; বলিভিয়া-০; দ. কোরিয়া-০; জার্মানি-১ স্পেন-১; স্পেন-৩ বলিভিয়া-১; জার্মানি-৩ দ. কোরিয়া-২; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : জার্মানি গ্রুপ রানার্স আপ : স্পেন। গ্রুপ-ডি : আর্জেন্টিনা-৪ গ্রিস-০; নাইজেরিয়া-৩ বুলগেরিয়া-০; আর্জেন্টিনা-২ নাইজেরিয়া-১ বুলগেরিয়া-৪ গ্রিস-০; নাইজেরিয়া-২ গ্রিস-০; বুলগেরিয়া-২ আর্জেন্টিনা-০; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : নাইজেরিয়া. গ্রুপ রানার্স আপ : বুলগেরিয়া। গ্রুপ-ই : আয়ারল্যান্ড-১ ইতালি-০; নরওয়ে-১ মেক্সিকো-০; ইতালি-১ নরওয়ে-০; মেক্সিকো-২ আয়ারল্যান্ড-১; ইতালি-১ মেক্সিকো-১; আয়ারল্যান্ড-০ নরওয়ে-০; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : মেক্সিকো গ্রুপ রানার্স আপ : আয়ারল্যান্ড। গ্রুপ-এফ : বেলজিয়াম-১ মরক্কো-০; নেদারল্যান্ডস-২ সৌদি আরব-০; বেলজিয়াম-১ নেদারল্যান্ডস-০; সৌদি আরব-২ মরক্কো-১; নেদারল্যান্ড-২ মরক্কো-১; সৌদি আরব-১ বেলজিয়াম-০; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : নেদারল্যান্ডস গ্রুপ রানার্স আপ : সৌদি আরব। সুপার সিক্সটিন : নক আউট দ্বিতীয় রাউন্ড : জার্মানি-৩ বেলজিয়াম-২; স্পেন-৩ সুইজারল্যান্ড-০; সুইডেন-৩ সৌদি আরব-১; রুমানিয়া-৩ আর্জেন্টিনা-২; ব্রাজিল-১ যুক্তরাষ্ট্র-০; নেদারল্যান্ড-২ আয়ারল্যান্ড-০; ইতালি-১ নাইজেরিয়া-১; বুলগেরিয়া-১ (৩) মেক্সিকো-১ (১) (টাইব্রেকারে বুলগেরিয়া জয়ী); কোয়ার্টার ফাইনাল: ইতালি-২ স্পেন-১; ব্রাজিল-৩ নেদারল্যান্ডস-২; বুলগেরিয়া-২ জার্মানি-১; সুইডেন-২ (৩) রুমানিয়া-২ (২) (টাইব্রেকারে বুলগেরিয়া জয়ী); সেমি-ফাইনাল : ইতালি-২ বুলগেরিয়া-১; ব্রাজিল-১ সুইডেন-০ তৃতীয় স্থান : সুইডেন-৪ বুলগেরিয়া-০; ফাইনাল : ব্রাজিল-০ (৩) ইতালি-০ (২) (টাইব্রেকারে ব্রাজিল জয়ী) চ্যাম্পিয়ন : ব্রাজিল রানার্স আপ : ইতালি তৃতীয় স্থান : সুইডেন । দীর্ঘ দুই যুগ পর আবার লস-এঞ্জেলসের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও ইতালি। সেই ১৯৭০ সালে জুলেরিমে ট্রফির শেষ ফাইনালে দু’দল শেষবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার শেষ হাসি হেসেছিল ব্রাজিল। এবার সে হারের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইতালি। খেলাও হয় স্মরণকালের অন্যতম সেরা খেলা। দুই দলের সামনেই চতুর্থবারের মতো কাপ জয়ের সুযোগ। সে সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না কোন অধিনায়ক। শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কেহ কারও নাহি ছাড়ে সমানে সমান। এ যেন ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। পুরো খেলা থাকলো গোল শূন্য। খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও জয়-পরাজয়ের ফয়সালা হলো না। সুতরাং জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি করতে টাইব্রেকার ছাড়া গত্যন্তর থাকল না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসল ব্রাজিল। ১৯৭০’র পুনরাবৃত্তি ঘটল আরও একবার। প্রথম দল হিসেবে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের পর প্রথম দল হিসেবে চতুর্থবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড। নতুন ইতিহাস গড়ল ব্রাজিল। ব্রাজিল অধিনায়ক ডুঙ্গার অমরতার জন্যে আর কী চাই! দিয়াগো ম্যারাডোনাকে মাদক সেবনের দায়ে বহিষ্কার করা হলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে যায়। যদিও তার আগেই ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে সর্বাধিক ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেন। তার আগে জার্মান তারকা উয়েজিলার, লোথার ম্যাথুস ও পোল্যান্ড স্টার জামুডা ২১ ম্যাচ খেলেন। ইতালির ক্যানিজিয়া বিশ্বকাপের দেড় হাজার গোলের মাইল ফলক অতিক্রম করেন এ বিশ্বকাপে। রাশান তারকা ওলেগ সালেনকো ক্যামেরুনের বিপক্ষে এক ম্যাচে একাই ৫ গোল করে নতুন রেকর্ড গড়েন। এ বিশ্বকাপে ঘটে ফুটবল ইতিহাসের এক নির্মম হৃদয় বিদারক ঘটনা। কলম্বিয়ান ফুটবল তারকা এন্ডার্স এস্কোবার আমেরিকা থেকে স্বদেশে ফেরার পথে মেডেলিনের হোটেল থেকে বেবোবার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ঘাতকের গুলিতে নিহত হন। তার অপরাধ ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তার আত্মঘাতী গোলে কলম্বিয়া হেরে যায়। কলম্বিয়াবাসীর ধারণা, আত্মঘাতী গোলটি ছিল তার ইচ্ছাকৃত। তৃতীয় স্থান পায় সুইডেন। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে হারায় বুলগেরিয়াকে। পঞ্চদশ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের নেতৃত্ব দেন ডুঙ্গা আর ইতালির বারোসি। পঞ্চদশ বিশ্বকাপে মোট ১৪১টি গোল হয়। পঞ্চদশ বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করেন বুলগেরিয়ার স্টয়চকভ ও রাশিয়ার ওলেগ সালেনকো যুগ্মভাবে। তারা এ বিশ্বকাপে ৬টি গোল করে ‘টপ স্কোরার’ হন এবং ‘সোনার বুট’ লাভ করেন। হ্যাটট্রিক করেন রাশিয়ার ওলেগ সালেনকো। পঞ্চদশ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন হাঙ্গেরির রেফারি স্যান্ডোর পুল। লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ লেখক পরিষদ বাংলাদেশ ও ভারতে প্রকাশিত দুই শতাধিক বইয়ের লেখক e-mail : [email protected]
×