ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেহঘড়িই মেজাজের প্রাণ

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১৯ মে ২০১৮

দেহঘড়িই মেজাজের প্রাণ

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেহঘড়ি মানুষের দেহ ও মনের সব প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, মানুষের ‘দেহ ঘড়ির’ ছন্দে কোন উল্টাপাল্টা হলেই তার ‘মুড ডিজঅর্ডার’ বা মেজাজ খারাপ হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর গবেষকরা ৯১ হাজার লোকের ওপর এক জরিপ চালানোর পর বলছেন, বিষণèতা, হঠাৎ ভীষণ রেগে যাওয়া, একাকীত্ব, অসুখী মনোভাব, আরও অনেক মানসিক সমস্যার সঙ্গে মানবদেহের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘিœত হবার সম্পর্ক আছে। ‘দিনে জেগে থাকা আর রাতে ঘুম’ - এই হচ্ছে মানবদেহের স্বাভাবিক ছন্দ, যা অনুযায়ী দেহের প্রতিটি কোষ, শারীরিক প্রক্রিয়া এবং স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে, বলছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলছেন, কেউ যদি রাত জেগে বেশি কাজকর্ম করে বা সক্রিয় থাকে বা দিনে নিষ্ক্রিয় থাকে তাদেরকেই দেহঘড়ির বিঘেœর আওতায় ফেলা হয়েছে। এদের মানসিক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হবার আশঙ্কা স্বাভাবিক জীবনযাপনকারীদের চেয়ে ৬ থেকে ১০ শতাংশ বেশি। গবেষকরা বলছেন, অনেক সমাজেই স্বাভাবিক মানুষের জীবনযাপনে এই স্বাভাবিক দিন-রাতের চক্র বদলে যাচ্ছে এবং তাদের জন্য এই জরিপের ফলাফল একটি সতর্কবাণী। তবে দেহঘড়ির এই ছন্দ বিভ্রাটই কি মানসিক রোগের কারণ, নাকি এটা তার লক্ষণ মাত্র? জরিপটি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। এ জন্য আরও গবেষণা দরকার হবে। দেহঘড়ির এই ছন্দকে বলে সার্কেডিয়ান রিদম। মানুষের মনমেজাজ, হরমোনের স্তর, শরীরের তাপমাত্রা এবং দেহের বিপাক ক্রিয়া - এই সবকিছুর ওপরই এর প্রভাব ব্যাপক। - বিবিসি
×