ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কৌশিকের হ্যাটট্রিকে মেরিনারের আয়েশি জয়

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৩ মে ২০১৮

কৌশিকের হ্যাটট্রিকে মেরিনারের আয়েশি জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লীগে বুধবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে একটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ পুলিশ এসসি। মেরিনার ১০-১ গোলে শোচনীয়ভাবে হারিয়ে দেয় পুলিশকে। খেলার প্রথমার্ধেই বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ৫-০ গোলে। পুরো ম্যাচে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে পুলিশকে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দেয় মেরিনার। যদিও স্কোরলাইনটা আরও বড় হতে পারতো। সুযোগ নষ্ট করায় কমপক্ষে আরও পাঁচটি গোল করতে পারেনি তারা। তাদের আক্রমণে বলতে গেলে দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ দল। ম্যাচের ৫ মিনিটেই গোলের ‘হালখাতা’ খুলে ফেলে মেরিনার। মইনুল ইসলাম কৌশিক ফিল্ড গোল করে এগিয়ে নেন মেরিনারকে (১-০)। চার মিনিট পরেই আবারও গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মেরিনার। পিসি থেকে গোল করেন পুস্কর খিসা মিমে (২-০)। ১১ মিনিটে রেজাউল করিম বাবু ১টি ফিল্ড গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। নাইম উদ্দিনও ১টি ফিল্ড গোল করেন ২৫ মিনিটে। ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় মেরিনার। ৩৪ মিনিটে অধিনায়ক ও তারকা ডিফেন্ডার মামুনুর রহমান চয়ন পিসি থেকে দর্শনীয় গোল করলে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় মেরিনার। কৌশিক পিসি থেকে ৩৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন (৬-০)। হাসান জুবায়ের নিলয় পরপর ২টি ফিল্ড গোল করেন (৪৩ ও ৪৭ মিনিটে)। ফলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৮-০। চয়ন পিসি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ৫৬ মিনিটে (৯-০)। ৫৯ মিনিটে পুলিশ এসসির জামিল বিন তালিব ১টি ফিল্ড গোল করলে ব্যবধানে কিছুটা কমে (১-৯)। কৌশিক, নিলয় এবং চয়নের মধ্যে কে করবেন সবার আগে হ্যাটট্রিক, এরপর এটাই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এর উত্তর ৬০ মিনিটে ফিল্ড গোল দিয়ে দেন কৌশিক (১০-১)। লীগে এটা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। প্রথমটি করেন মোহামেডানের রাসেল মাহমুদ জিমি (এ্যাজাক্সের বিরুদ্ধে)। লীগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এটা মেরিনারের টানা দ্বিতীয় জয়। এর আগে তারা ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে হারায় ৪-০ গোলে। দলগুলো প্রথমপর্বে সরাসরি লীগ পদ্ধতিতে খেলবে। ঊষা বাদে বাকি দলগুলো হলো : ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান এসসি, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বাংলাদেশ এসসি, সোনালী ব্যাংক এসআরসি, ওয়ারী ক্লাব, সাধারণ বীমা ক্রীড়া সংস্থা, এ্যাজাক্স এসসি, আজাদ এসসি, পুলিশ এসসি এবং ভিক্টোরিয়া এসসি)। প্রথমপর্ব শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া পাঁচ দল খেলবে সুপার ফাইভ পর্বে। প্রথমপর্বে অর্জিত পয়েন্ট যোগ করে সুপার ফাইভ লীগের স্থান নির্ধারণ করা হবে। প্রথমপর্বের গোলসংখ্যা সুপার ফাইভে যোগ হবে না। শুধু সুপার ফাইভে পক্ষে এবং বিপক্ষে গোল পার্থক্য স্থান নির্ধারণের জন্য ধরা হবে (চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দল ব্যতীত)। প্রথমপর্ব ও সুপার ফাইভ খেলা শেষে দুই লীগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলকে লীগ চ্যাম্পিয়ন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলকে রানার্সআপ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তবে কেবল চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সমান হলে গোল পার্থক্য ধরা হবে না। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলের সংখ্যা অধিক হলে প্লে-অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্লে-অব ম্যাচ ড্র হলে শূট আউটের মাধ্যমে খেলার ফল নিষ্পত্তি করা হবে।
×