ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়ল চীনের অকেজো স্পেস ল্যাব

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৩ এপ্রিল ২০১৮

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়ল চীনের অকেজো স্পেস ল্যাব

চীনের অকেজো মহাকাশ গবেষণাগার তিয়ানগং-১ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর খণ্ড খণ্ড হয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে মাঝামাঝি অংশের উপরে জ্বলেপুড়ে অবশিষ্ট অংশ পানিতে পড়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার সোয়া ৮টার দিকে পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশের সময় এর অধিকাংশই জ্বলে যায় বলে জানিয়েছে চীনের মহাকাশ বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। বিবিসি। সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা জানালেও অবশিষ্টাংশগুলো ঠিক কোথায় পড়েছে তা জানায়নি তারা। এর আগে চীনা মহাকাশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মহাকাশ গবেষণাগারটি ব্রাজিলের সাও পাওলো এবং রিও ডি জেনিরো শহরের নিকটবর্তী উপকূলের কাছে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে উপরের বায়ুমণ্ডল দিয়ে পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশ করতে পারে। মার্কিন বিমান বাহিনীর ১৮তম মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ স্কোয়াড্রন জানিয়েছে, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে তিয়ানগং-১ এর পুনঃপ্রবেশের সময় তারাও এটিকে শনাক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্কোয়াড্রনটি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা সব কৃত্রিম বস্তুকে শনাক্ত ও অনুসরণ করে থাকে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রিটেনে থাকা তাদের সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে তিয়ানগং-১ এর পুনঃপ্রবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্যোতিঃপদার্থবিদ ব্রাড টাকার জানিয়েছেন, তিয়ানগং-১ এর অবশিষ্টাংশ তাহিতি দ্বীপের প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পড়েছে বলে মনে হয়েছে। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, তিয়ানগং-১ এর ৯০ শতাংশ বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বাকি মাত্র ১০ শতাংশ নিচে পড়েছে, তবে এই খণ্ডাংশগুলোর ভরও প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি হবে। তিনি বলেন, সম্ভবত ওই ধ্বংসাবশেষগুলো সাগরে পড়েছে, লোকজন যদি এগুলোর সামনে পড়ে তাদের কাছে এসবকে সমুদ্রের আবর্জনার মতোই মনে হবে, আর এগুলো সম্ভবত কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার বেজিং বলেছিল, মহাকাশ গবেষণাগারটির কোন বড় অংশ পৃথিবীতে এসে পড়বে এমন সম্ভাবনা নেই।
×