ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৩০ মার্চ ২০১৮

গাইবান্ধায় চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের  অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৯ মার্চ ॥ গাইবান্ধার শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজে অচল অবস্থা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার একই দাবিতে শিক্ষকরা কর্মবিরতি করায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারেনি। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাজহার উল মান্নান নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বুধবার অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি তুলে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন কয়েক শিক্ষক। পরে শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে কিছু ছাত্র উত্তেজিত হয়ে অধ্যক্ষ মাজহার উল মান্নান, গবর্নিং বডির সভাপতি শাহজাদা আনোয়ারুল কাদিরের বাসায় ও প্রতিষ্ঠানের মূল গেটে ভাংচুর চালায়। এ নিয়ে স্কুল এলাকায় টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের জবাবে উঠে আসে ওই প্রতিষ্ঠানের চার শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র। প্রতিষ্ঠানটির গবর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শাহজাদা আনোয়ারুল কাদির বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। কয়েক শিক্ষক এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে ইতোপূর্বে তাদের সতর্ক করা হয়। এটিও শিক্ষকদের ক্ষুব্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ। সম্প্রতি একাদশ শ্রেণীতে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, কিছু ছাত্র পরীক্ষার খাতায় যে নম্বর পেয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা কমিটির দাখিলকৃত ফল শীটে ছাত্রদের নম্বর বেশি করে দেয়া হয়। বিষয়টি অধ্যক্ষের নজড়ে এলে তিনি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। নোটিস প্রাপ্ত পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক রফিকা ইসলাম, সদস্য শফিউল আলম সরকার, তানিয়া শারমিন ও সোহেল রানা এমন ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জবাব দেন। এরপর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শিক্ষকদের এক বৈঠকে অভিযুক্তদের ভর্ৎসনা করেন। তিনি আরও বলেন, তারা এই ন্যক্কারজনক অপরাধ থেকে রক্ষা পেতে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে তাদের অনুগত ছাত্রদের উত্তেজিত করে। এরপর তারা কোমলমতি ছাত্রদের দিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর স্লোগান ও কর্তৃপক্ষের বাসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাজহার উল মান্নান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকরা কারণ দর্শানোর জবাবে মুদ্রণজনিত ভুলের কথা স্বীকার করলেও বিষয়টি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা একেবারে স্পষ্ট।
×