ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক এ মাসেও হচ্ছে না

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ ১০ মাস ধরে বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৯ মার্চ ২০১৮

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ ১০ মাস ধরে বন্ধ

ফিরোজ মান্না ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে গঠিত ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির’ বৈঠক এ মাসেও হচ্ছে না। এবারের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ঢাকায়। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের পর দেশটিতে শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তারই প্রেক্ষিতে দুই দফা তারিখ পরিবর্তনের পর চলতি মাসে ঢাকায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কেন কি কারণে বৈঠক হচ্ছে না, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা কিছুই বলতে পারেননি। অবশ্য দুই দেশের মধ্যে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুই দিন আগে পরে হোক বৈঠক হবে। মন্ত্রীর সফরের পর ১০ মাস কেটে গেলেও শ্রমবাজারে ইতিবাচক কোন সাড়া মিলছে না। আবার বাংলাদেশী কর্মীদের আকামা (চাকরি) পরিবর্তনের সুযোগও দেয়া হয়নি। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সম্প্রতি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রী সাকর গোবাশ সাঈদ গোবাশের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অধিক সংখ্যক কর্মী নেয়া ও কর্মীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের কাছে বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠানোর কথা হয়। এই চাহিদার অনুকূলে কত সংখ্যক কর্মী তারা নেবে সে বিষয়টি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ঠিক হবে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হওয়ার পরেই বলা যাবে কত সংখ্যক কর্মী সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছেন। এর আগে বলা মুশকিল তারা বাংলাদেশ থেকে কত সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশী কর্মীদের আকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হবে। দুই দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মুসলিম প্রধান দেশ, একই ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুভূতি ও পারস্পরিক অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্টতা বজায় রাখার জন্য পরস্পরের প্রতি একটা ঘনিষ্ঠতা আগে থেকেই বিরাজমান রয়েছে। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে একযোগে কাজও করে যাচ্ছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামসমূহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের বিভিন্ন ইস্যুতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। এতে কর্মীদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রণালয় বিদেশী কর্মীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জারিকৃত সর্বশেষ ডিক্রিসমূহের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও অধিক সংখ্যক দক্ষ কর্মী নেয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
×