ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিস্মিত ওজনিয়াকি!

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৮ মার্চ ২০১৮

বিস্মিত ওজনিয়াকি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দ্বৈতে ফিরেছিলেন আগেই। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি মহিলা এককেই কোর্টেও ফিরেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। ইন্ডিয়ান ওয়েলসে শুরুটাও করেছিলেন দোর্দ- প্রতাপে। টানা দুই জয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয়পর্বেরও টিকেট নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেই থেমে যেতে হয় আমেরিকান টেনিসের এই জীবন্ত কিংবদন্তিকে। তৃতীয়পর্বে সেরেনা উইলিয়ামসকে থামিয়ে দেন তারই বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামস। তবে ২৩ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক তো থেমে থাকতে নারাজ। মিয়ামি ওপেন দিয়ে নতুন মিশন শুরু করতে যাচ্ছেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান। তবে সন্তান জন্মের পর সেরেনা উইলিয়ামসের এমন ফেরায় বিস্মিত ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। বিশ্বাসই করতে পারছেন না কিছুদিন আগেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরা ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা। এ প্রসঙ্গে ক্যারোলিন ওজনিয়াকি বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর কি আমি ফিরতে পারতাম? ৩৬ বছর বয়সে আমার জন্য তা অসম্ভব হবে বলেই মনে করি। কিন্তু সে পেরেছে। তার ফেরা দেখাটা সত্যিই অসাধারণ। সে বিস্ময়কর একজন খেলোয়াড়। সে আসলে খেলাটাকে খুবই ভালবাসে। এটা ক্রীড়ার জন্যই দারুণ একটা ব্যাপার। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মিয়ামি ওপেন। এই টুর্নামেন্টের শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্চের মুখোমুখি সেরেনা উইলিয়ামস। কেননা প্রথম রাউন্ডের ম্যাচেই তার প্রতিপক্ষ নাওমি ওসাকা। গত রবিবার ক্যারিয়ারের প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন যিনি। ইন্ডিয়ান ওয়েলসের ফাইনালে জাপানের তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় দারিয়া কাসাতকিনাকে পরাজিত করে জাপানের প্রথম প্রমীলা খেলোয়াড় হিসেবে এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৭ সপ্তাহ বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। চলতি মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতে আবারও হারানো রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেন ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা। কিন্তু খুব বেশিদিন নিজের দখলে রাখতে পারেননি তা। সদ্য সমাপ্ত ইন্ডিয়ান ওয়েলসের আগেই তার কাছ থেকে শীর্ষস্থান দখল করে নেন রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন তেমন মনোযোগ নেই ড্যানিশ তারকার। বরং ওজনিয়াকির চোখে-মুখে এখন আরও গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বপ্ন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি টেনিসটাকে খুব উপভোগ করছি। আমাদের সামনে এখন ফ্রেঞ্চ ওপেন। তার আগে এই মুহূর্তে নিজেকে খুব চাপমুক্ত মনে হচ্ছে। টেনিস খেলাটাকে উপভোগ করা আর সুস্থ থাকাটাই এখন আমার মূল চাওয়া। এখন কোন চাপ অনুভব করছি না আমি।’ ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের অনভূতিটা এখনও দারুণভাবে রোমাঞ্চিত করছে ওজনিয়াকিকে। এ বিষয়ে ২৭ বছর বয়সী ওজনিয়াকি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। এটা এমন এক অর্জন যার জন্য আমি গর্বিত। সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের সঙ্গে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও পুনরুদ্ধার করেছিলাম আমি। একই সঙ্গে দুটো জেতায় আমার কাছে তা ছিল আরও বিশেষ কিছু।’ তবে যেভাবে খেলছেন তা অর্জন করা ওজনিয়াকির জন্য নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন কাজ। কেননা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না তিনি। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান ওয়েলসের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেন ওজনিয়াকি। তবে মিয়ামি ওপেনে পারবেন কী নিজের সেরাটা ঢেলে দিতে? টেনিসপ্রেমীদের অপেক্ষা এখন সেটাই দেখার। এদিকে মিয়ামি ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মারিয়া শারাপোভা। মূলত ইনজুরির কারণেই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন রাশিয়ান টেনিসের এই গ্ল্যামারগার্ল।
×