ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যে রেকর্ডে হেইন্সের পর কেবলই এলগার

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২৪ মার্চ ২০১৮

যে রেকর্ডে হেইন্সের পর কেবলই এলগার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০’র এই যুগে টেস্ট ক্রিকেট যেন ভুলেই যাচ্ছে এই প্রজন্ম। ডিন এলগার সেখানে ব্যতিক্রম। প্রোটিয়া ওপেনার দেখালেন টেস্ট ব্যাটিং কাকে বলে। ইনিংস শুরু করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ডেসমন্ড হেইন্সের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করলেন প্রতিভাবান এ ব্যাটসম্যান। হাঁকালেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কেপ টাউন টেস্টের দ্বিতীয়দিনে ৩১১ রানে অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ব্যক্তিগত ১৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন এলগার। এর আগে ক্যারিয়ারে সর্বাধিক তিনবার ইনিংসের শুরু থেকে পর্যন্ত ব্যাট করেছিলেন সাবেক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। সেখানে ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এলগার এ কীর্তি গড়লেন। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তোপের মুখে পড়েছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার দ্বিতীয়দিনের তৃতীয় সেশনে মরনে মরকেল (৩/৪৯) ও কাগিসো রাবদার (২/২৪) পেস তান্ডবে ৪২ ওভারে ১৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে স্টিভেন স্মিথের দল। উল্লেখ্য, ১-১এ চলমান চার ম্যাচ সিরিজের . তৃতীয় টেস্ট খেলছে দু’দল। লম্বা সময় ব্যাট করাকে যেন অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। প্রথমবার এই স্বাদ পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডারবান টেস্টে। সেবার দলের ২১৪ রানে এলগার অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রানে। মাত্র দুই মাস আগে ভারতের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো এই কীর্তি গড়েন তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। তার দল অল-আউট হয়েছিল ১৭৭ রানে। হেইন্স প্রথমবার এই রেকর্ড গড়েন ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচী টেস্টে। দলের ২১১ রানে হেইন্স করেছিলেন ৮৬*। দ্বিতীয়বার ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে ও ১৯৯৩ সালে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই পোর্ট অব স্পেনে তৃতীয়বারের মতো এই কীর্তি গড়েন হেইন্স। বাংলাদেশেও কিন্তু একজন আছেন যিনি এই রেকর্ডের মালিক। বাংলাদেশের ‘জেনুইন টেস্ট ব্যাটসম্যান’ খ্যাত জাভেদ ওমর বেলিম ২০১১ সালে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে নিজের অভিষেক টেস্টে অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। আগেরদিনের করা দলীয় ২৬৬ রানে ব্যাট করতে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এলগার ও বারাদা। দুইজনে মিলে ভালভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন অজিদের পেস আক্রমণ। দুইজনে মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। তবে ব্যক্তিগত ২২ রানে নাথান লেয়নের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই পেসার। এরপর খুব বেশি সময় উইকেটে থেকে এলগারকে সঙ্গ দিতে পারেননি মরকেল। ৪ রান করে তিনিও লেয়নের শিকার হন। আর এতেই ৩১১ রানে থেকে যায় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এইডেন মার্করামকে (০) হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলাকে নিয়ে শুরুর এই ধাক্কা সামলান এলগার। আমলা ৩১ করে ফিরলেও একটা সময় ২ উইকেটেই ২২০ রান তুলে ফেলেছিল প্রোটিয়ারা। তৃতীয় উইকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্স আর এলগার মিলে গড়েন ১২৮ রানের জুটি। তখন পর্যন্ত বেশ ভাল অবস্থানেই ছিল স্বাগতিকরা। ৯৫ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান প্যাট কামিন্স। এরপর অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৫), টেম্বা বাভুমা (১) আর কুইন্টন ডি কক (৩) সাজঘরে ফিরলে ২২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। তার মাঝে এলগারের ওই ইনিংসটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
×