ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েসহ গোয়েন্দা হত্যাচেষ্টা ॥ রাশিয়াকে দায়ী করলেন মে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৪ মার্চ ২০১৮

মেয়েসহ গোয়েন্দা হত্যাচেষ্টা ॥ রাশিয়াকে দায়ী করলেন মে

সাবেক সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তা সার্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে রুশ গুপ্তচরেরা বিষ প্রয়োগে হত্যা চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে তেরেসা মে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ওই ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা। মে বলেন, ‘আজকের মধ্যে যদি মস্কো কোন জবাব না দেয় তবে যুক্তরাজ্য ধরে নেবে রাশিয়া বেআইনীভাবে সেখানে তাদের শক্তি প্রয়োগ করে যাচ্ছে।’ ঘটনার পরপরই লন্ডনে রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। হামলায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানটি নার্ভ গ্যাসের একটি গ্রুপ বলেও মন্তব্য করেন মে। তিনি বলেন, ‘হয় রাশিয়া এ ধরনের কাজ করে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে অথবা সরকার দেশের নার্ভ গ্যাস প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।’ লন্ডনে পররষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নোভিচক নামের কর্মসূচীর বিষয়ে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সরবরাহের তাগিদ দেয়া হয়েছে। মে বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোন ধরনের সাড়া না পেলে হাউস অব কমনসে দেশটির বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে আলোচনা করা হবে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্ক্রিপল (৬৬) ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে (৩৩) ৪ মার্চ সলস্বেরি সিটি সেন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নার্ভ গ্যাস দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২০০৪ সালে স্ক্রিপল রাশিয়াতে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হন। তবে বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় স্ক্রিপলকে ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকের পরই কমন্সে দেয়া ভাষণে মে বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত আমরা কখনও মেনে নেব না। স্ক্রিপলের উপর আক্রমণ আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ। তাদের এই আক্রমণ আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বিরতিহীন আক্রমণের অংশ বলে মনে করছি। এদিকে নার্ভ গ্যাস প্রয়োগের ফলে দুইটি নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে। ১৯৮০ দশকে রাশিয়া ওই রাসায়নিক অস্ত্র আবিষ্কার করেন। নোভিচক নার্ভ গ্যাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ। এটি প্রয়োগের কয়েক মিনিটের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়।
×