ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খুর্শিদ রাজীব

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১১ মার্চ ২০১৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বসেছিল একদল স্বপ্নবাজ তরুণের মেলা। চোখেমুখে অদম্য তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি আর বুকে কূটনৈতিক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তারা রাবিতে এসেছিলেন ছায়া জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে। তৃতীয় বারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল রাবি মডেল ইউনাইটেড নেশন্স এ্যাসোসিয়েশন (আরইউমুনা)। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বৈশ্বিক শান্তি সম্প্রসারণে অমানবিকতা প্রতিহতকরণ।’ আয়োজকরা জানালেন, সম্মেলনে ভারত, নেপালসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। সম্মেলনের মহাসচিব ও আরইউ মুনার ডিরেক্টর জেনারেল সুজন মাহমুদ বলেন, পৃথিবীব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহের কবলে পড়ে মানবতা ও মানবিকতা আজ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতারা যেভাবে ভাবতেন, একইভাবে শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে এসব সমস্যা বিশ্লেষণ করে সমাধানের পথ খুঁজেছেন। মূলত তরুণদের নেতৃত্ব উপযোগী করে তুলতে এই প্রয়াস। অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা সম্মেলনের চার দিনে ছয়টি কমিটি সেশনে প্রতিপাদ্য বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের আলোচনায় উঠে আসে করেন সিরিয়া, তুরস্ক, মধ্য আফ্রিকা ইস্যু, রাসায়নিক অস্ত্র, সাইবার অপরাধ, শরণার্থী ইস্যু। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দা নিগার সুলতানা মালিহা বলেন, ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের বিভিন্ন কমিটিতে প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে পৃথিবী সম্পর্কে জানার অবারিত সুযোগ পাচ্ছে। যুক্তি দিয়ে প্রত্যেকে নিজের প্রয়োজন, চাহিদাগুলো তুলে ধরছে। ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন যে শুধু কিছু দক্ষতা আর জ্ঞানার্জনের জায়গাই নয়, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হবার, নতুন বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রও বটে। এমনটাই মনে করেন সম্মেলনে যোগ দেয়া ক্ষুদে প্রতিনিধি, রাজশাহীর প্যারামাউন্ট স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ণব পা-ে। তৃতীয় এই আসরকে সফল আখ্যা দিয়ে আরইউমুনার আতিথেয়তা ও সম্মেলন ব্যবস্থাপক সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, এর আগের দুটি সম্মেলনে অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে কিছু ছোটখাটো ত্রুটি থেকে গিয়েছিল। কিন্তু এবার আমরা যথেষ্ট পরিণত হয়ে সফলভাবে সম্মেলনটি শেষ করতে পেরেছি। প্রতিনিধি ও অতিথিরা আমাদের আয়োজন নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন। তাছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষালয়ের প্রতিনিধিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুুপ্রাণিত করেছে। গত ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) উদ্বোধন হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনীও অনুষ্ঠিত হয় এখানেই। এক জমকালো অনুষ্ঠানে শেষদিন নানা ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তৃতীয় আসর।
×