বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডুটা)। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধন থেকে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, নীল দলের আহ্বায়ক কবি ড. মোঃ সামাদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা, ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য চন্দ্রনাথ পোদ্দার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, জঙ্গীবাদ এমন একটি বিষয় যা কোন সমাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয় না। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জঙ্গীবাদের ছোবল থেকে মুক্ত ছিল। তারপরও মাঝে মাঝে জঙ্গী হামলা ঘটেছে। এদের বিরুদ্ধ আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এদের শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ২০১৮ সালের জঙ্গী তৎপরতা পূর্বের জঙ্গী তৎপরতা থেকে ভিন্ন। কেননা ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অন্যদিকে আরেকটি গোষ্ঠী আছে যারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে না। দেশের গণতান্ত্রিক চর্চাকে তারা ব্যাহত করতে চায়। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের চেতনাকে নষ্ট করে দিতে চায়। তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। এর জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, অধ্যাপক জাফর ইকবাল শঙ্কামুক্ত হলেও আমরা শঙ্কামুক্ত নই। বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত নয়। নিজেরা নিজেদের প্রহরী হয়ে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
মানববন্ধন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবাল সুস্থ হওয়ার পর সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে জঙ্গীবাদ বিরোধী কর্মসূচীর ঘোষণা প্রদান করা হয়। এ কর্মসূচী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দিন তারিখ ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়।