ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পর্তুগালকে ফেবারিট মনে করছেন না রোনাল্ডো

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পর্তুগালকে ফেবারিট মনে করছেন না রোনাল্ডো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চার বছর পর আবারও বিশ্বকাপ ফুটবল দরজায় কড়া নাড়ছে। আর মাত্র সাড়ে তিন মাস পর রাশিয়ায় বসতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে জমজমাট ও আকাক্সিক্ষত আসর। ইতোমধ্যে বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে। এখন সুযোগ পাওয়া ৩২টি দল নিজেদের দল গোছানোতে ব্যস্ত। ইতোমধ্যে ব্রাজিল তাদের ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে। এবারের বিশ্বকাপে অনেক দলের মধ্যে পর্তুগালকেও ফেবারিটের কাতারে রাখা হচ্ছে। ২০১৬ সালে দেশটি প্রথমবারের মতো ইউরো জয় ছাড়াও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দারুণ খেলেছে। তবে মজার বিষয়, পর্তুগালের সেরা তারকা ও অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন না। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার মতে এবার ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানি কিংবা আর্জেন্টিনার যে কেউ শিরোপা জিততে পারে। জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে আগামী ১৫ জুন স্পেনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুই দল মরক্কো ও ইরান। ২০১৬ সালে পর্তুগালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে নেতৃত্ব দেয়া রোনাল্ডো বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনার প্রশ্নে বাস্তববাদী হচ্ছেন। তবে মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা স্বপ্নটাকে চেপেও রাখেননি। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ফুটবলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। রোনাল্ডো বলেন, আমরা ফেবারিট নই। ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন, আর্জেন্টিনার মতো দলে অনেক তারকা খেলোয়াড় আছে। তাদের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ফুটবলে সবই সম্ভব। আর আমাদের আসল লক্ষ্য সফলভাবে গ্রুপ পর্ব শেষ করা। নিজেদের ইতিহাসে কখনই বিশ্বকাপ জিততে পারেনি পর্তুগাল। তবে বিশ্বকাপ না জিতলে তার সাফল্যম-িত ক্যারিয়ার পূর্ণতা পাবে না, এমনটা মানেন না পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। এ প্রসঙ্গে সি আর সেভেন বলেন, সত্যি কথা বলতে, আমি তেমন মনে করি না। ফুটবলে আমি যা যা স্বপ্ন দেখেছিলাম তার সবই অর্জন করেছি। আমাদের সবার স্বপ্ন ও লক্ষ্য থাকতে পারে; কিন্তু আমি এত বেশি দারুণ সবকিছু অর্জন করেছি যে আমার আর কোন স্বপ্ন অপূর্ণ নেই। টানা দুই মৌসুমে ব্যালন ডি’অর জিতে মেসির সমান সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপাটি জিতেছেন পর্তুগীজ এই তারকা। আরও দুই বা তিনবার এই পুরস্কার জিততে চান রোনাল্ডো। তিনি বলেন, আমি কখনও পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্ন দেখিনি। আমাকে যদি এখন ক্যারিয়ার শেষ করতে হয় তাহলে আমি খুশি থাকব। তবে আরও যদি দুই বা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিততে পারি তাহলে আনন্দিত হব। জুনে মস্কোয় স্বাগতিক রাশিয়া ও এশিয়ার প্রতিনিধি সৌদি আরবের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হবে। গত ১ ডিসেম্বর জমকালো ড্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে গ্রুপিংও নির্ধারণ করা হয়েছে। রঙিন ও বর্ণাঢ্য মহাসম্মেলনে নিজেদের স্থান করে নিতে দুই শতাধিক দেশ নেমেছিল বাছাইপর্বের লড়াইয়ে। সেখান থেকে ৩১টি দেশ পেয়েছে চূড়ান্ত পর্বের টিকেট। স্বাগতিক হিসেব খেলবে রাশিয়া। ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামের পর রাশিয়ার স্বাগতিক হওয়া নিশ্চিত হয়। এবারই প্রথম বিশ্বকাপপূর্ব ইউরোপে এবং ২০০৬ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপে অনুষ্ঠিত হবে। রাশিয়া বিশ্বকাপের খেলা ১১ শহরের ১২টি স্টেডিয়ামে হবে। সবমিলিয়ে হবে ৬৪টি ম্যাচ। ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল মহারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের বিশ্বকাপটি সবচেয়ে পরিপূর্ণ হতো যদি না ইতালি বাদ পড়তো। কঠিন চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়ে শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের টিকেট পেলেও ইতালি পারেনি। বাছাইপর্ব থেকেই বাদ পড়তে হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এই আক্ষেপ নিয়েই এবার উপভোগ করতে হবে বিশ্ব ফুটবলের রঙিন আসর। যেখানে আবারও টপ ফেবারিটের তকমা থাকছে রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের গায়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্দান্ত ধারাবাহিক পারফর্মেন্স ও বাছাইপর্বের পারফর্মেন্সের কারণেই পেলের দেশকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে।
×