ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৭৫-এ পা দিলেন ‘দাবার রানী’ রানী হামিদ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

৭৫-এ পা দিলেন ‘দাবার  রানী’ রানী হামিদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন... নামটা বললে বোধকরি কেউই তাকে চিনবেন না। যদি বলি তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক দাবা মাস্টার, তার ডাকনাম রানী, বিয়ের পর নিজের ডাকনামের সঙ্গে যোগ করেন স্বামীর ‘হামিদ’ নামটি... তাহলে নিশ্চয়ই চিনতে সমস্যা হবে না! হ্যাঁ, ১৯৮৫ সালে ফিদে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার খেতাব পাওয়া এবং তিনবার ব্রিটিশ মহিলা দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ‘বাংলাদেশের দাবার রানী’ খ্যাত তিনিই হচ্ছেন রানী হামিদ। বাংলাদেশের এই দাবা কিংবদন্তির ৭৪তম জন্মদিন ছিল শুক্রবার। তাকে জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা। যতদিন সুস্থ থাকবেন, আর আনন্দ পাবেন ততদিনই খেলে যেতে চান রানী হামিদ। শুরু করার পর পাঁচ বছর লেগেছে তার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পেতে। নিজের সময়ে খুব বেশি ভাল দাবাড়ু বা প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় স্বীয় দাবা দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক সমস্যা হয়েছে রানীর। ড. আকমল হোসেন ছাড়া তার সময়ে ভাল দাবাড়ুই ছিল না। তার সঙ্গে খেলে নিজের খেলার মান বাড়াতে হয়েছিল রানীকে। শুধু দাবার প্রতি আনন্দের জন্য নয়, সাংসারিক কোন চাপ না থাকা, স্বামী প্রয়াত এমএ হামিদের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং পরে সন্তানদের (এদের একজন কায়সার হামিদ ছিলেন আশির দশকের প্রবল জনপ্রিয় জাতীয় ফুটবলার) উৎসাহও রানী হামিদকে লম্বা সময় দাবায় থাকতে সাহায্য করেছে। দাবা খেলাটা তিনি শুরু করেছিলেন স্কুলজীবন থেকেই। এই প্রজন্মের অনেক মহিলা দাবাড়ুরই আদর্শই হচ্ছেন রানী হামিদ। তারা চায় রানী হামিদের মতো হতে। জাতীয় দাবায় ২১ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রানী হামিদ। এটা বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু দাবা ফেডারেশনের অদক্ষতা, অনীহায় এটি গিনেজ বুকে এখনও অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি পীড়া দেয় রানীকে।
×