ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অফার বনাম প্রতারণা;###;মোহাম্মদ শরীফ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ আসছে ফোর-জি ইন্টারনেট

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ আসছে ফোর-জি ইন্টারনেট

বাংলাদেশে মোবাইল টেলিকম সার্ভিস নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভের আর শেষ নেই। বেশ কিছুদিন আগে বেরিয়ে এল একটি সেন্টারের নারীকর্মীদের নির্যাতনের চিত্র। আবার এই টেলিকম ব্যবসার ট্যাক্স ফাঁকির আছে বিস্তর অভিযোগ। তারমধ্যে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ সবচেয়ে বেশি নীরবে সইতে হয়। ধামাকা, অফার, প্যাকেজ আর বোনাসের রংবেরঙের বিজ্ঞাপনে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। ২৪ ঘণ্টা এসব অফার নামক প্রতারণার মেসেজ মোবাইলে আসতেই থাকে। একবার রিচার্জ করলে, তা জানানো হয় ৫টির বেশি মেসেজ দিয়ে! এছাড়া আছে অফিস কলের জ্বালাতন। হরেক রকম বাহানার সেবা নিয়ে কল সেন্টার থেকে আসে এসব কল। দিনে কম করে হলেও একবার গ্রাহককে কল দেবেই তারা। সাধারণ মানুষ এসব কল রিসিভ করে হচ্ছে বিভ্রান্ত। না বুঝে পা দিচ্ছে এসব কোম্পানির ফাঁদে। সেবার নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কেঁটে নিচ্ছে ইচ্ছেমতো টাকা। আবার সাধারণ মানুষ বুঝে না কিভাবে এসব সার্ভিস বন্ধ করতে হয়। তাই কোম্পানির প্যাকেজের চার্জ দিয়ে যেতেই হচ্ছে তাদের। সরকারী বা কোম্পানির নির্দিষ্ট অভিযোগ কেন্দ্র্র না থাকায়, এসব কোম্পানির ভোগান্তিতে ভুগতে হচ্ছে দেশের এমন অসংখ্য সাধারণ গ্রাহককে। টেলিকম খাতে গ্রাহক বিভ্রান্তি এখানেই শেষ নয়। এখন অনেকটা জোর করেই বাধ্য করা হচ্ছে এসব নামের-বেনামের প্যাকেজ চালু করতে। প্যাকেজ চালু করতে এখন আর গ্রাহকের সম্মতি দরকার হয় না। নিজে নিজে চালু হয়ে যাচ্ছে প্যাকেজ। আর তার জন্য কেঁটে নেয়া হচ্ছে টাকা। আবার এই সার্ভিসগুলো সকালে বন্ধ করলে, বিকেলে ‘অটো’ চালু হয়ে যায়! টেলিকম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলে বলে, ‘অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য দুঃখিত!।’ কিন্তু ভুলে কেটে নেয়া টাকাটা দেয়া হচ্ছে না ফেরত। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নটিও করতে পারে না গ্রাহক। আর করলেও তার উত্তর মিলে না। আবার টেলিকম কাস্টমার কেয়ারে এসব অভিযোগ জানাতে করতে হয় টাকা খরচ। এসব কোম্পানির নিজস্ব সেবা নিতে কেন টাকা দিতে হবে? এছাড়া কলড্রপ, ফোর-জি গতিতে থ্রি-জি ডাটা কেটে নেয়ার অভিযোগ তো আছেই। এরই মধ্যে এসেছে আবার ফোর-জি সেবার ঘোষণা। উদ্যোগটা প্রশংসনীয়। তবে এর সঠিক বাস্তবায়নও হতে হবে। তারানা হালিমের পর এই খাতের গুরুদায়িত্বে এসেছে মোস্তফা জব্বার। তিনি আইটি খাতে দেশে বেশ প্রশংসিত। আশা করি, গ্রাহক দুর্ভোগের এই ব্যাপারগুলোর দিকে তিনি নজর দেবেন। মোবাইল কোম্পানিগুলোর ব্যাপারে সরকারীভাবে অভিযোগ কেন্দ্র না থাকায়, নীরবে গ্রাহকদের সহ্য করতে হচ্ছে এসব ভোগান্তি। সহজলভ্য সরকারী টেলিকম অভিযোগ কেন্দ্র গড়ে উঠলে, কমে আসবে গ্রাহক দুর্ভোগ। দ্রুত গ্রহণ করা হোক সে রকম গ্রাহক সেবার পদক্ষেপ। ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, কুমিল্লা থেকে
×