ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিং ব্যাক মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কিং ব্যাক মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রবিবার ‘কিং ব্যাক’ খ্যাত প্রখ্যাত ফুটবলার মোনেম মুন্নার ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং তার প্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেড তাকে স্মরণ না করলে নারায়ণগঞ্জবাসী তাকে ঠিকই স্মরণ করেছে। মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সোনালী অতীত ক্লাব ও মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে মুন্নার কবরে ফুল দেয়া হয়। বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জ সোনালী অতীত ক্লাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বাদ আছর তার বাসভবন ও বন্দরে মুন্না স্মৃতি সংসদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩৯ বছর বয়সে কিংবদন্তি মুন্না সবাইকে অশ্রুজলে ভাসিয়ে চলে যান নাফেরার দেশে। এত অল্পবয়সে তার চিরবিদায়ে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছিল বিষাদের ছায়া। ২০০০ সালের প্রারম্ভে হঠাৎ করেই কিডনি ফেল করলে ডাক্তাররা দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। ওই বছরের মার্চে ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় তার শরীরে। মুন্নার বড় বোন শামসুননাহার আইভী তাকে একটি কিডনি দান করেন। এরপর টানা পাঁচ বছর ভাল থাকলেও ২০০৫ সালে মুন্না আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে চিরকালের জন্য তিনি বিদায় নেন। ফুটবলমোদীদের কাছে মুন্না নামটি এখনও অন্যরকম এক চমকের ব্যাপার। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ারই অন্যতম সেরা ফুটবলার। স্টপার পজিশনে খেলেও যিনি সর্বসাধারণের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। মাঠে শুধু চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্য নয়, দক্ষ নেতৃত্ব এবং ফুটবলে দুর্দান্ত পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করে রীতিমতো ‘ফুটবল আইকনে’ পরিণত হয়েছিলেন। আর এ কারণেই ‘কিং ব্যাক’ উপাধি তার জন্য ছিল অবধারিত। ঢাকার মাঠের সবচেয়ে দামী ফুটবলারও ছিলেন তিনি। ’৮০-৮১ সালে পাইওনিয়ার লীগে নাম লেখানোর মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে অভিষেক ঘটেছিল মুন্নার। এরপর খেলেছেন শান্তিনগর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও আবাহনী ক্রীড়া চক্রে। আবাহনীর হয়েই ক্যারিয়ার শেষ করেন। ফুটবল খেলা ছাড়লেও আবাহনীর কর্মকর্তা-ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আমৃত্যু। আবাহনী মাঠেই তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
×