ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিবিসি প্রধান টনি হলকে শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

বিবিসি প্রধান টনি হলকে শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ

ব্রিটেনের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্য এবং এই প্রতিষ্ঠানে যারা হয়রানির শিকার তাদের মুখ বন্ধ করার লক্ষ্যে এনডিএ (তথ্য গোপন) কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এসব অভিযোগ নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্তের জন্য বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য ন্যাশনাল অডিট অফিসকে চিঠি দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে সেখানের প্রভাবশালী সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক বাছাই কমিটি বিষয়টি নিয়ে বিবিসির মহা পরিচালক টনি হলকে আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও নারী ও সমতা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি মারিয়া মিলার এ প্রসঙ্গে বিতর্কের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিষয়টি ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সেখানের অধিকার সচেতন মানুষের ধারণা যাদের মুখ বন্ধ করার জন্য বিবিসি অর্থ ব্যয় করছে, তা রাষ্ট্রিয় অর্থ ও যা প্রকারান্তরে জনগণের ট্যাক্স থেকে প্রাপ্ত অর্থ। তাই এই অর্থ কীভাবে ব্যয় হয়েছে বা হচ্ছে তা জানার অধিকার জনগণের আছে। তাই পার্লামেন্টে সরকারী ও বিরোধী দলীয় ৩০ জন এমপি সম্মিলিতভাবে এক পত্রে এই মর্মে তাদের অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, বিবিসির এনডিএ দলিলগুলো আসলে এই প্রতিষ্ঠানে নিগৃহীতদের মুখ বন্ধ করার চুক্তি পত্র। যেসব ব্রিটিশ এমপি এই পত্রে স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নিকি মরগ্যান ও অন্যান্য লিবারেল ডেমোক্র্যাট এবং লেবার দলীয় এমপিও রয়েছেন। এমপিদের এই চিঠিতে এনডিএ’র মতো আইনগত প্রক্রিয়ায় যে অর্থ ব্যয় হয় তা জনগণ প্রদত্ত অর্থ। একটি প্রতিষ্ঠানের অপকর্ম ঢাকার জন্য জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় করা যেতে পারে না, তাই অতি জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার। চারিদিক হতে প্রচ- চাপের মুখে পড়ে বিবিসি শুক্রবার রাতে স্বীকার করেছে যে, তারা তাদের ‘অতি গোপনীয়’ তথ্য সংগ্রহের নীতিমালা অনুযায়ী তাদের প্রতিষ্ঠানভুক্ত কর্মচারীদের সঙ্গে এনডিএ চুক্তি সম্পাদন করেছে। কিন্তু এদের সংখ্যা ‘সীমিত’। তবে ইন্ডিপেন্ডেন্টের পক্ষ থেকে হয়রানির শিকার বিবিসি স্টাফের সঠিক সংখ্যা জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটি তা জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। মারিয়া মিলার বিবিসির এই অস্বীকৃতির জন্য প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনা করে বলেন, তাদেরকে এনডিএ চুক্তির সঠিক সংখ্যা প্রকাশে বাধ্য করা উচিত। বিবিসি অনেক দিন যাবতই তাদের এনডিএ চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে আসছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি লন্ডনের প্রেসিডেন্ট ক্লাব নৈশভোজে আগত বহু নারী যৌন নিগ্রহের শিকার হয়। এ ঘটনা যাতে প্রকাশ না হয় সেজন্য বিবিসি ভুক্তভোগীদের এনডিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এই কেলেঙ্কারির ঘটনা কোনভাবে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে পর্যন্ত জানাজানি হয়। এরপর ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, প্রধানমন্ত্রী এনডিএ’র ব্যাপক অপপ্রয়োগ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ খবর নিবেন।
×