ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শীতকালীন অলিম্পিক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

শীতকালীন অলিম্পিক প্রস্তুতি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পরবর্তী শীতকালীন অলিম্পিক এগিয়ে আসছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে আর মাত্র ৫০ দিন বাকি থাকার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাং শহরে আয়োজিত হবে এ শীতকালীন অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক। সে কারণে প্রস্তুত হচ্ছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী সিউল থেকে সাদা ও নীল রংয়ের দুই ধরনের উচ্চ গতিসম্পন্ন ট্রেন চালু করা হয়েছে। দ্রুত অলিম্পিক ভেন্যুতে পৌঁছানোর জন্য সাধারণ মানুষ, ভক্ত ও সমর্থকদের জন্য সবমিলিয়ে ৫১টি ট্রেন রাখা হয়েছে যাতায়াতের জন্য। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এবারের শীতকালীন অলিম্পিক। ওই সময় পিয়ংচ্যাং শহরে বিপুল পরিমাণ মানুষ যাতায়াত করবেন। সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আগত অতিথি, এ্যাথলেট, স্টাফ এবং সংশ্লিষ্ট অনেকেই থাকবেন। সিউল থেকে সে কারণে দ্রুত পিয়ংচ্যাংয়ে পৌঁছুতে আয়োজকরা বিকল্প রুট চিন্তা করেছে। কারণ রেলওয়েটি হওয়ার আগে সিউল থেকে পিয়ংচ্যাং যেতে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় যেতে হতো। সবমিলিয়ে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতো। এখন সিউল থেকে ভেন্যু শহরে যেতে জিনবু হয়ে মাত্র ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগবে। এছাড়া স্কিসহ বেশকিছু ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে দেশের পূর্বদিকে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত গ্যাংনিউংয়ে। সেখানে পৌঁছুতে আরও ১৬ মিনিট লাগবে নতুন এই ট্রেনে করে যেতে। সবমিলিয়ে সিউল থেকে ২৭৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে ট্রেনে করে। রাজধানী সিউলের দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থিত ইনচন থেকে যাত্রা শুরু করবে ট্রেন। সবমিলিয়ে ২০,৯১০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে ট্রেনগুলো। নতুন এ রেলওয়েটি দক্ষিণ কোরিয়ার কেটিএক্স নেটওয়ার্কের অংশ। এর আগে অলিম্পিক আয়োজক শহরগুলোকে অনেক ঝক্কি পোহাতে দেখা গেছে প্রস্তুতি নিতে। সময়মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে আয়োজকরা। স্টেডিয়াম, রাস্তা করা, ভবন নির্মাণসহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা ইত্যাদি জটিলতার নাম হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া ভিন্ন উদাহরণ সৃষ্টি করল। মাত্র ৫০ দিন বাকি থাকলেও প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে পিয়ংচ্যাং। এখন শেষ মুহূর্তের চাকচিক্য বর্ধনের কাজ। এ বিষয়ে গেমসের প্রধান আয়োজক কর্মকর্তা লি হি-বিওম বলেন, ‘আমরা পিয়ংচ্যাংয়ে যা সৃষ্টি করেছি সেটার জন্য সত্যিই খুব গর্বিত। ভেন্যুগুলোর সুযোগ-সুবিধা এবং সামর্থ্যগুলো এবং বিভিন্ন অবকাঠামোগত কাজ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা গত ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে সেটিকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন এই বিশাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া উৎসব আমাদের সবার জন্য প্রস্তুত এবং হাতের মুঠোয়।’ তবে দক্ষিণ কোরিয়া ভেন্যু প্রস্তুত করলেও উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আর রাশিয়ার জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপকহারে ডোপিংয়ে জড়িয়ে পড়ার কারণে। সিউলের অধিবাসী আন জু-ইয়ং এসব নিয়ে বলেন, ‘অলিম্পিক অনেক বড় একটা ইভেন্ট এবং যদি কোন আন্তর্জাতিক সমস্যার সৃষ্টি হয় সেটা অনেক মানুষকেই দুঃশ্চিন্তায় ফেলবে। একজন দক্ষিণ কোরিয়ান হিসেবে আমি মনেপ্রাণে আশাকরি যে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।’ টিকেট বিক্রিও দারুণ জমে উঠেছে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩০০টি। সবমিলিয়ে ১১ লাখ ৮০ হাজার টিকেট আছে আয়োজকদের কাছে। অর্থাৎ সবেমাত্র ৪৯.৭ ভাগ টিকেট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে টিকেট বিক্রির গতি বাড়ছে এবং দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে।
×