যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের প্রথম বছরটি কেলেঙ্কারি, রাজনৈতিক বিরোধ ও মেরুকরণে টইটুম্বুর ছিল যা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমেরিকানদের মিথস্ক্রিয়ার রাস্তা বদলে দিয়েছে। মন্ত্রিসভার কক্ষে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস প্রতিবেদকদের স্বাগত জানান। সেখানে তিনি তার পহেলা বছরের অর্জনগুলো পুনরাবৃত্তি করেন। তার মন্তব্যগুলো ছিল ব্যাপক উৎসাহে ভরা।-খবর এএফপির
তিনি গত এক বছরে যা করেছেন কিংবা বলেছেন, আমেরিকার ইতিহাসে তা কখনও দেখা যায়নি। বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়ে সবকিছু দেখেছে। ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি অনেককে আতঙ্কিত করেছে। তার প্রতিটি নীতি বাস্তবায়নের শৈলীতে সবাই আশ্চর্য হয়েছেন। যার সঙ্গে বাকি বিশ্ব সব সময় দ্বিমত পোষণ করেছে। টাওসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড ভ্যাটজ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বুলি আওড়েছেন, তা আধুনিক আমেরিকার কোন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যায় না। তার যোগাযোগ প্রবণতা ছিল একই ধরনের। তিনি যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তাতে সঙ্গতি আছে কিনা কিংবা তার পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন ছিলেন না। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কারও সঙ্গে তার আচরণ মেলানো যায় না। ট্রাম্প নিজেকে সব সময় খুবই স্থির প্রতিভার মানুষ হিসেবে পরিচয় দেন। অন্য দেশগুলোকে নিকৃষ্টভাষায় গালি দেন, আর ক্রমাগত তার রাজনৈতিক বিরোধীদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের অনেকে তার সমালোচক গণমাধ্যমেকে পাশ কাটিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প টুইটারে পোস্ট দিয়ে সমালোচনা আরও বেশি উসকে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর একটি দিনও ফাঁকা যায়নি, যেদিন তিনি পত্রিকার শিরোনাম কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় ছিলেন না। জনজীবনের প্রতিটি দিকে তিনি নাক গলিয়েছেন এবং সর্বদা একটা ভাষাগত লড়াই চালিয়ে গেছেন। সমর্থকরা তার এই সোজাসাপ্টা আচরণকে ভালবাসেন। আর বিরোধীরা সব সময় তার প্রতি চরম ক্ষোভ ঝেরেছেন। সাবেক মধ্যপ্রাচ্য আলোচক এ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, প্রেসিডেন্টের নিজস্ব জগত ও বাস্তব জগতের মধ্যে যে ফারাক সেটাই এখানে আসল সমস্যা। তিনি যে কী বলেন, তার অর্থ তিনি জানেন না। এমনকি তার কথা দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চান, তাও পরিষ্কার করেন না।