ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশ সরকার

ট্রাম্পের সফর বাতিল, গণবিক্ষোভের হুমকি দায়ী

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

ট্রাম্পের সফর বাতিল, গণবিক্ষোভের হুমকি দায়ী

নতুন দূতাবাস উদ্বোধনের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লন্ডন সফরের কর্মসূচী বাতিলের সিদ্ধান্তের জন্য গণবিক্ষোভ প্রদর্শনের হুমকিকে দায়ী করেছে ব্রিটিশ সরকার। সরকার সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছে যে, হোয়াইট হাউসের সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। খবর এএফপির। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আগামী মাসের লন্ডন সফর বাতিল করছেন। কারণ, তিনি নতুন দূতাবাসের স্থান ও ব্যয় পছন্দ করেন না। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে ব্রিটেনে ট্রাম্প বিরোধিতার কারণে। তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, এ ধরনের সমালোচনার কারণে এ সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোন বিদেশী নেতা হিসেবে প্রথম হোয়াইট সফরে যান এক বছর আগে এবং তখন তিনি ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ব্রিটেনে চরম ট্রাম্প বিরোধিতার মুখে এ পর্যন্ত সফরের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। এতে করে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়, এ সফর খুব একটা গুরুত্ব পাবে না। ট্রাম্প শুক্রবার রাতে এক টুইটে বলেন, প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত আগামী মাসে ব্রিটেন কর্মসূচীতে তিনি যোগ দেবেন না। তিনি লিখেছেন, আমি ওবামা প্রশাসনের কোন বড় অনুরাগী নই। ওই প্রশাসন লন্ডনে একটি সবচেয়ে চমৎকার নতুন দূতাবাস কেনার জন্য ১ শ’ ২০ কোটি ডলার ব্যয় করে। দুতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি বাস্তব শুরু হয় সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের প্রশাসন আমলে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপে ক্ষুব্ধ সমালোচকরা তার সিদ্ধান্তের প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন। লন্ডনের মেয়র সাদেক খান বলেছেন, অনেক লন্ডনবাসী এটা স্পষ্ট করেছিলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখানে স্বাগত জানানো হবে না। মনে হচ্ছে, তিনি যে বার্তা পেয়েছেন। তিনি টুইটে বলেন, তার সফরের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে এবং তাকে আমন্ত্রণ জানানো ভুল হয়েছে। কিন্তু জনগণ সাদেক খান ও লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের বিরুদ্ধে অভিযোগও এনে বলেন, তারা সফরের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে একমাত্র বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। তা সত্ত্বেও খান ও করবিন এ সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে দৃঢ় বলে মনে হচ্ছে। ডাউনিং স্ট্রিটে মের এক মুখপাত্র বলেন, রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণের তারিখ বাড়ানো হয়েছে এবং গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে পুরনো ও মর্যাদাশীল দেশগুলোর অন্যতম এবং আমাদের মধ্যে শক্তিশালী ও আন্তরিক অংশীদারিত্ব অটুট থাকবে।
×