ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অসমে বাঙালীদের পক্ষে কথা বলায় মমতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৮

অসমে বাঙালীদের পক্ষে কথা বলায় মমতার বিরুদ্ধে মামলা

অসমের বাঙালীদের পক্ষে মুখ খোলায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। সিনহুয়া। ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্য পুলিশ শুক্রবার জানায়, ভারতীয় পেনাল কোডের ১৫৩ এ ধারায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। অসমের বিভিন্ন স্থানে মমতার বিরুদ্ধে আন্দোলন, প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ চলছে। পোড়ানো হচ্ছে মমতার কুশপুত্তলিকা। অসমে বাঙালী হটাও-এর খবর প্রচারিত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হন মমতা। তার বিরুদ্ধে অসমের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন আন্দোলন শুরু করে। পাশাপাশি অসমের বাঙালীরাও প্রতিবাদ জানায়। ফলে অশান্ত হয়ে পড়েছে অসম। পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য অসমে গত রবিবার গভীর রাতে প্রকাশ করা হয় অসমের রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির খসড়া। এতে উঠে এসেছে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের নাম। অসমে নাগরিক পঞ্জির রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা সুপ্রীমকোর্টে আগেই দুই কোটি নাগরিকের আবেদনপত্রের ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। ৩৮ লাখ মানুষের নথিপত্রে সামান্য ত্রুটি থাকার কারণে পুনঃপরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান। নথি পেশের পর রবিবার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের। এই খসড়া প্রকাশের পর নওগাঁসহ বরাক উপত্যকার বাঙালীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, বহু বাঙালীর নাম ওঠেনি। তারা অভিযোগ তুলেছে, বাঙালীদের অসম থেকে বিতাড়নের পাঁয়তারা চলছে। অসমের নাগরিক পঞ্জিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের নাম ওঠে। ১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাম ওঠেনি। ফলে ৫৭ দশমিক ৪১ শতাংশের নাম উঠলেও বাকি থাকে ৪২ দশমিক ৫৯ শতাংশের মানুষের নাম। এই তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বুধবার তিনি বীরভূম জেলার আমোদপুরে এক সভায় বলেছেন, অসমে এখন বাঙালী খেদাওয়ের পাঁয়তারা চলছে। সেখানে যারা ৩০-৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন তাদের নাম ওঠেনি। মমতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। অসম-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে অশান্তি হলে তার প্রভাব পড়বে বাংলায়। অসমে সবাই বাঙালী খেদাও করছে। এটা মেনে নেয়া হবে না।
×