রূপগঞ্জে এক মন্দিরে দুই গ্রুপের কীর্তন আয়োজন ॥ উত্তেজনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৯ ডিসেম্বর ॥ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে এক মন্দিরে দুই গ্রুপের কীর্তন আয়োজনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে সংঘর্ষ। ঘটনাটি উপজেলার কেয়ারিয়া এলাকার। কেয়ারিয়া উত্তরপাড়া কালী মন্দির সভাপতি শীতল সরকার জানান, কেয়ারিয়া এলাকার মরন চাঁন ও লাল চাঁন ৭ বছর আগে আমাদের মন্দিরের সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে মরন চাঁন নেশা করেন ও লাল চাঁন মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে ভুয়া কবিরাজি করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। মন্দির কমিটি থেকে এসব অপকর্ম ছেড়ে দিতে তাদের একাধিকবার বলা হয়। তারা তা না শুনে কেয়ারিয়া কালী মন্দির থেকে সরে গিয়ে লাল চাঁন সরকারের বাড়িতে সার্বজনীন পূজা ম-প তৈরি করে গত ৭ বছর ধরে আলাদা পূজা করে আসছে। প্রতি দূর্গাপূজায় আলাদা আলাদা সরকারী বরাদ্দও দেয়া হয়। কেয়ারিয়া কালি মন্দিরে ২৪ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ মহানামযজ্ঞের ১৫তম কীর্তন আয়োজন করে বর্তমান বৈধ কমিটি যা আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং আমাদের অনুষ্ঠান ভু-ুল করতে বর্তমানে আমাদের মন্দিরের নামে নতুন করে দাওয়াত পত্র তৈরি করে কীর্তন করার ঘোষণা দেয় লাল চাঁন, মরন চাঁন এবং তাদের সমর্থক গৌরাঙ্গ ও হরিয়ানন্দ। এমনকি তারা ঐ দাওয়াতপত্র দিয়ে চাঁদাও আদায় করছেন। এক মন্দিরে দুই গ্রুপের কীর্ত্তন আয়োজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সংঘর্ষের আশংকা করছেন। যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ ঘটনায় শীতল সরকার বাদী হয়ে লাল চাঁন ও মরন চাঁনদের এ অনৈতিক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গণেশ চন্দ্র পাল বলেন, শীতল সরকারদের কমিটি বৈধ কমিটি, বিষয়টি কয়েক দফা বসে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। লাল চাঁন, মরন চাঁনরা শুধু ঝামেলা পাকানোর উদ্দেশ্যে ঔ মন্দিরে কীর্তন করার কথা বলছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, আগামী রবিবার উভয় পক্ষকে ডেকে এর সুষ্ঠু সমাধান দেয়া হবে।