জিকা ভাইরাসকে ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপদ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ৮০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে ভাইরাসটি। সংক্রমিত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ এবং এর প্রভাবে জন্মগত ত্রুটি (কনজেনিটাল জিকা সিন্ড্রোম) নিয়ে বড় হয়েছে অসংখ্য শিশু। মেডিক্যাল লাইফ সায়েন্স।
যদিও বিজ্ঞানীরা এ ভাইরাসটি এবং এর বাহক মশা সম্পর্কে আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি কিছু জানেন, এবং এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন তৈরিতে একযোগে কাজ করছেন। তবুও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (এনআইএআইডি) মতে জিকা মহামারি এখন নিয়ন্ত্রণে, এ কথা বলতে আরও বহু সময় লাগবে। দ্য জার্নাল অব ইনফেকশাস ডিজিজের ১৬ ডিসেম্বরের অনলাইন সংখ্যায় জিকা ভাইরাসের জিন (বংশগতি) সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও এ সম্পর্কিত নানা প্রশ্নের অনুসন্ধান নিয়ে একটি বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এতে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে তার একটি হলো ভৌগোলিক মিউটেশনের ফলে জিকা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে কি না। যদি এডিস মশা বিভিন্ন প্রজাতির জিকা ভাইরাস বহনে সক্ষম হয় তবে ভবিষ্যতে তা কি ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যেসব সুপরিচিত ফ্ল্যাভিভাইরাস আছে যেমন ডেঙ্গু, তার সঙ্গে তুলনা করলে জিকার কি কি অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে কি না।