ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

শিল্পকলায় পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নূপুরের নিক্বণধ্বনি ছড়িয়ে শুরু হলো উৎসব। মুখরিত হলো উৎসব আঙিনা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশাালা প্রধান মিলনায়তন। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে অনবদ্য নৃত্যশৈলী উপভোগ করল দর্শক। সোমবার থেকে শুরু হলো পাঁচদিনের জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব। উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে নৃত্যশিল্পী সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নৃত্যশিল্পী রাহিজা খানম ঝুনুকে। বাংলার লোকগাথা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য নিয়ে রচিত নৃত্যনাট্য নিয়ে সাজানো হয়েছে উৎসব। অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রুখে দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে শেকড়ের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশে তৃতীয়বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা। সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। পৌষের হিমেল সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্থার মীনু হক। উদ্বোধনী বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিজাতীয় কোন সংস্কৃতির মোহে পড়ে যেন বিপথে ধাবিত না হয়, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সে দিকে আরও যত্নবান হতে হবে। প্রত্যাশা করি আমাদের আগামী প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীরাও বাঙালী কৃষ্টি-সংস্কৃতি চর্চায় নিবেদিত থাকবে এবং মনন মানসিকতায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। মীনু হক বলেন, বিগত কয়েক বছরে আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের ওপর কালো থাবা বিস্তার করলেও শিল্পী সমাজ থেমে থাকেনি। দেশের শেকড়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতি চর্চা হুমকির মুখে যখন, তখন নৃত্যশিল্পীরাও সরব ছিল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই এ উৎসব আয়োজন করছি। তিনি আরও বলেন, নৃত্যশিল্পীরা বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন রুখে দিয়ে তরুণদের বিপথগামিতা রুখে দেয়ার শপথ নেবেন এই উৎসব থেকে। উদ্বোধনী আলোচনা শেষে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস পরিবেশন করে ‘সূর্যমুখী নদী’ শিরোনামের নৃত্যনাট্য। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের শিল্পীরা পরিবেশন করবে ‘মায়ার খেলা’ এবং সাতক্ষীরার ‘চন্ডালিকা’। কাল বুধবার সিলেটের শিল্পীরা পরিবেশন করবে ‘দ্রোহকাল’ ও রাজশাহীর শিল্পীরা ‘বিদায় অভিশাপ’। এর পর দুইদিন বিরতি দিয়ে একই মঞ্চে ২৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের শিল্পীরা পরিবেশন করবে ‘মহুয়া’ এবং কিশোরগঞ্জের শিল্পীরা উপস্থাপন করবে ‘সোনাই মাধব’। ২৪ ডিসেম্বর খুলনার শিল্পীদের পরিবেশিত ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ নৃত্যনাট্য উপস্থাপনার মাধ্যমে শেষ হবে উৎসবের ঢাকা পর্ব। উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে জানুয়ারিতে ঢাকার নৃত্যশিল্পীদের দল চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, নাটোর, ময়মনসিংহে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করবে। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে নৃত্যশিল্পী সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা প্রয়াত নৃত্যশিল্পী রাহিজা খানম ঝুনুকে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবটি চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে। দৃকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী । ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে শুরু হলো সামসুল আরেফিন মিঠুর একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তু মানুষের অসহায়ত্ব, বিহলতা ফুটে উঠেছে ক্যানভাসে। সোমবার বিকেলে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক সাংবাদিক আনিসুল হক। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে বুধবার পর্যন্ত। বাহাদুর শাহ পার্কে জোটের বিজয় উৎসব । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৭ মার্চের ভাষণকে প্রতিপাদ্য করে চলছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব। সোমবার ছিল উৎসবের ষষ্ঠদিন। এদিনের আয়োজন ছিল পুরান ঢাকায় সদরঘাটের বাহাদুর শাহ্ পার্ক মঞ্চে। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কথনে যোগ দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়সহ নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে অংশ নেয় জোটভুক্ত সংগঠনগুলো। শুরুতেই অংশ নেয় শিশু সংগঠন মৈত্রী শিশু দল ও সপ্তকলির আসরের পরিবেশনা।
×