ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় নিখোঁজ যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

গাইবান্ধায় নিখোঁজ যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৩ ডিসেম্বর ॥ নিখোঁজ যুবলীগ নেতা দীপক প্রসাদের লাশ ৪ দিন পর বুধবার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার দুপুরে দীপক প্রসাদ শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়া তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজ নেয়। কিন্তু কেউ তার কোন সন্ধান দিতে পারেনি। বুধবার দুপুরে দীপক প্রসাদের বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি পুকুরে এলাকার লোকজন তার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ পরিবারের লোকজনের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে। জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার মোঃ শাহীদ হাসান লোটন জানান, দীপক প্রসাদ জেলা যুবলীগ সম্পাদক ম-লীর সাবেক সদস্য এবং শহর ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুবলীগের সঙ্গে জড়িত। ফরিদপুরে তরুণ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, মধুখালীতে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর জনি শেখ (১৮) নামে এক তরুণের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মধুখালী পৌর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন বনমালদিয়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। জনি শেখ মধুখালী পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বনমালিদিয়া মহল্লার বাসিন্দা ক্ষুদ্র মুদী ব্যবসায়ী জলিল শেখের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। সে (জনি শেখ) বাড়ির সামনে ডিম সিদ্ধ করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। জানা গেছে, পাঁচদিন আগে গত শুক্রবার রাতে ডিম বিক্রি শেষ করে বাড়ি থেকে বের হয় জনি। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বুধবার সকালে ওই পুকুরে তার লাশটি ভেসে ওঠে। বোয়ালমারীতে গৃহবধূ সংবাদদাতা বোয়ালমারী থেকে জানান, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের দক্ষিণ কামার গ্রাম থেকে বুধবার দুপুরে তানিয়া (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ওই গৃহবধূর দেড় বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। জানা যায়, দক্ষিণ কামার গ্রামের ইসহাক ম-লের ছেলে ভ্যানচালক ইবরাহিম ম-ল ৩ বছর আগে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি গ্রামের আজবাহারের মেয়ে তানিয়াকে বিয়ে করে। এ ঘটনার পর ইবরাহিম তার মা-বাবাসহ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তানিয়ার বাবা আজবাহার মোল্লা বলেন, বেলা ১২টার দিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার মেয়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি। তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মেরে ফেলা হয়েছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৮৫ হাজার টাকা দিয়েছি। তিন-চার দিন আগে আমার মেয়েকে মারধর করে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে ১০ হাজার টাকা আনতে বলে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এসআই বোরহান দর্জি বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক।
×