ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিট নিয়ে টেরেসা মে ফস্টার সমঝোতা

প্রকাশিত: ০২:২৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ব্রেক্সিট নিয়ে টেরেসা মে ফস্টার সমঝোতা

বেশ কয়েকদিনের জটিল আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভবিষ্যত বাণিজ্য নিয়ে ব্রেক্সিট আলোচনায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে টেরেসা মে শুক্রবার সকালে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে পৌঁছান। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে তিনি রাতভর দীর্ঘ বৈঠকে করেছেন। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইনের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ জাঙ্কারের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে টেরেসা মে বলেন, ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ইস্যু তিনটি হলো আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত, অথনৈতিক বিষয়াদির নিষ্পত্তি ও ইউরোপের নাগরিকদের অধিকার। টেরেসা মে বলেন, কোন পক্ষের জন্যই এটা সহজ কাজ ছিল না। একটি চুক্তিতে একমত হওয়ার আগে উভয় তরফের দেয়া-নেয়া নিয়ে যুক্তিতর্ক হয়েছে। এটাই আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি। ভবিষ্যত বাণিজ্য নিয়ে সফল আলোচনার দিকে যাওয়ার পুরস্কার কী হবে, তা নিয়েও কথা বলেন তিনি। টেরেসা বলেন, এভাবে আলোচনা চালিয়ে গেলে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও নিশ্চয়তা আসবে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার (খসড়া চুক্তিতে) সমর্থন দিয়েছে বলে আমাকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মে। তার ভিত্তিতে আমার বিশ্বাস, এখন আমরা প্রয়োজনীয় গতিতে সামনে অগ্রসর হতে পারব। তিনি বলেন, আজকের ফলাফল অবশ্যই সমঝোতা। যদিও যুক্তরাজ্য ও ইইউ উভয়ের জন্যই আলোচনা কঠিন ছিল। ব্রেক্সিটের প্রথম ধাপের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে টেরেসা মে সরকারের শরিক দল নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জোরাল আপত্তি তোলায় গত সোমবার একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি। ব্রেক্সিটের পর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থা কি হবে এবং কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা নিয়ে মূল জটিলতা দেখা দিয়েছিল। টেরেসা মে বলেন, কোন কিছু নিয়ে তীব্র মতবিরোধ নেই এবং শুক্রবার চুক্তি সম্পন্ন হবে। ইইউর নাগরিকরা আগের মতোই যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারবেন। এদিকে শুক্রবার ডিইউপির নেতা আরলেন ফস্টার বলেন, খসড়া প্রস্তাবে পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট। অর্থাৎ, আইরিশ সাগরে কোন লাল দাগ থাকছে না। ইউরোপিয়ান কমিশনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলার অর্থ আগামী সপ্তাহে ইইউ নেতাদের সম্মেলনে খসড়া চুক্তিটি উপস্থাপন করা হবে। ওই সম্মেলনে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মে। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা চলবে।
×