ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি যুবরাজ সালমান যেন মধ্যপ্রাচ্যের পুতিন

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

সৌদি যুবরাজ সালমান যেন মধ্যপ্রাচ্যের পুতিন

সৌদি আরব একটি রাজতন্ত্র শাসিত দেশ। দেশটি কখনোই গণতান্ত্রিক কিংবা প্রজাতান্ত্রিক হওয়ার ভান ধরে না। বিশাল ভূমি ও তেল উৎপাদনের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় দেশটির পুরো সা¤্রাজ্যের বাদশাহ হলেনÑ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। সৌদি আরবকে বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের নেতা। দেশটি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), আরব লীগ ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদসহ (জিসিসি) বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও পশ্চিমা দেশের সঙ্গে সৌদি রাজ্য জোট গঠন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ও সমর্থনের বিনিময়ে তারা তেল বিক্রি করে। ট্রাম্পেট অনলাইন। ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে ৭৯ বছর বয়সী সালমান বাদশাহ হওয়ার পর নিজের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সিংহাসনের উপ-উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করেন। সৌদি স্বার্থ রক্ষায় তরুণ রাজপুত্র একটুও সময় অপচয় করেননি। একই বছরের মার্চে ইরান-সমর্থিত হুতি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১০টি মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশের সঙ্গে জোট গঠন করেন। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, তুর্কী, চীন ও জার্মানি তাকে অস্ত্র ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিন সালমান ৩৪টি আরব দেশ নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী জোট গঠন করেন। দুই মাস পরেই ১৯ মুসলিম দেশসহ সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করে। নর্থ থান্ডার নামের ওই মহড়া দিয়ে তারা আরবদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধে ইরানকে পরিষ্কার বার্তা পাঠাতে চেয়েছে। বড় কিছু ঘটনা সৌদি-ইরানের ভাঙন আরও চওড়া করে দিয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রখ্যাত এক শিয়া নেতাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করে সৌদি। এরপর সন্ত্রাসবাদ ও ইরানকে সমর্থনের দায়ে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে।
×