ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্মিথের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার জবাব

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

স্মিথের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার জবাব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ডের ৩০২ রানের জবাবে এক পর্যায়ে ৭৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে স্টিভেন স্মিথের প্রতিরোধ, প্রথমদিকে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শন মার্শ (৫১), শেষদিকে প্যাট কামিন্স (৪২)। তাতেই অলআউট হওয়ার আগে ৩২৮ রান করে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩২৬ বল খেলে স্মিথ অপরাজিত ১৪১ তুখোড় অসি অধিনায়কের এটি ক্যারিয়ারের শম্ভুকতম সেঞ্চুরি, ১৯৯৩ সালের পর কোন অস্ট্রেলিয়ানের ধীরগতির সেঞ্চুরি! এরপর অতিথি শিবিরে আঘাত হেনেছেন পেসার জস হ্যাজলউড (২/১১)। তৃতীয়দিন শেষে ৩৩ রান তুলতে ২ উইকেট হারানো ইংলিশদের লিড ৭। ওপেনার স্টোনম্যান ১৯ ও অধিনায়ক জো রুট ব্যক্তিগত ৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। সবমিলিয়ে গ্যাবায় (ব্রিসবেন) পাঁচ ম্যাচ এ্যাশেজের প্রথম টেস্টে লড়াইটা হচ্ছে সমানে-সমান। শেষ দু’দিনে যে কোন ফলই হতে পারে। ধৈর্য, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা, সহজাত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আপোস, সাহসিকতা আর স্কিলের প্রদর্শনী। অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে এ্যাশেজের প্রথম টেস্ট রাঙালেন স্মিথ। মাত্র ৫৭ টেস্টেই করে ফেললেন ২১ সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারের মন্থরতম সেঞ্চুরি, কিন্তু নিঃসন্দেহে সেরা সেঞ্চুরিগুলোর একটি। দিন শুরু করেছিলেন ৬৪ রান নিয়ে। স্টুয়ার্ট ব্রডের স্লোয়ারে সহজ ক্যাচ দিয়ে ১৪১ বলে ৫১ রান করা মার্শ আউট হওয়ার পরই পথ হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় নতুন বলের প্রথম ওভারেই জেমস এ্যান্ডারসনের দারুণ এক ডেলিভারিতে সাজঘরে সাত বছর পর দলে ফেরা আলোচিত টিম পেইন (১৩)। ব্রডকে ছক্কা মারলেও দুই বল পর ফিরতি ক্যাচ দেন মিচেল স্টার্ক (৬)। অস্ট্রেলিয়া ২০৯/৭। তখনও লিড অনেক দূরের পথ। কিন্তু অধিনায়কের ব্যাটে সেই বন্ধুর পথ পাড়ি দেয় স্বাগতিকরা। স্মিথকে সঙ্গ দেন কামিন্স। ইংলিশ বোলাররা এদিন প্রথম ঘণ্টাতেই ১৪টি বাউন্সার ছুড়েছে স্মিথকে। দারুণ লাইন-লেংথেও পরীক্ষা নিয়েছেন। সেই পরীক্ষায় দক্ষতায় উতরে যান সময়ের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মার্শ আউট হওয়ার পর ড্রাইভ খেলা প্রায় ছেড়েই দেন স্মিথ। ছেড়েছেন আর ঠেকিয়েছেন বলের পর বল। নেননি বিন্দুমাত্র ঝুঁকি। প্রথম সেশনে ৭২ বল খেলে মাত্র ১৭ রান। ৯০ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা! স্টুয়ার্ট ব্রডকে কাভার ড্রাইভে চার মেরে সেঞ্চুরি করেই মাতেন উদযাপনে। যা তার ক্যারিয়ারের ২১ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৪১৫ মিনিটে ২৬১ বলে মাত্র ৯টি বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি। তার আগের মন্থরতম সেঞ্চুরি ছিল ২২৭ বলে। অষ্টম উইকেটে স্মিথ ও কামিন্স গড়েন ৬৬ রানের জুটি। কামিন্সের লড়াই শেষ হয়েছে ৪২ রানে। এরপর হ্যাজলউড ও লিয়নকে নিয়ে শেষ দুই জুটিতে আরও ৫৩ রান তোলেন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া অলআউট হলেও স্মিথকে আউট করতে পারেনি ইংল্যান্ড। সাড়ে ৮ ঘণ্টা ক্রিজে থেকে ৩২৬ বল মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের নামের পাশে অপরাজিত ১৪১।
×