ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিনিয়র কূটনীতিকদের ৬০ ভাগ চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, শীর্ষ ৭৪ পদ খালি

পররাষ্ট্র দফতর অকার্যকর করে রেখেছেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১২ নভেম্বর ২০১৭

পররাষ্ট্র দফতর অকার্যকর করে রেখেছেন ট্রাম্প

সাবেক দুই মার্কিন কূটনীতিক দেশটির পররাষ্ট্র দফতর অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। পানামার সাবেক মার্কিন দূত বারবারা স্টিফেনসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েনডি শেরম্যান এ বিশ্লেষণ করেছেন। -ফরেন সার্ভিস জার্নাল। ফরেন সার্ভিস জার্নালের ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার জন্য পানামার রাষ্ট্রদূত স্টিফেনসন এক চিঠি লেখেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের নেতৃত্ব ক্রমবর্ধমান হারে দ্রুতই হ্রাস পাচ্ছে। সিনিয়র কূটনীতিকদের ৬০ ভাগই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর বছরের শুরুতে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। শীর্ষ পর্যায়ের ৭৪টি পোস্ট এখনও খালি রয়েছে। সেখানে কোন মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এজন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীগুলো নেতৃত্বের সঙ্কটে পড়েছে। আমি আশা করব এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। এটা শুধু শীর্ষস্থানীয়রা চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন তার জন্য নয় বরং নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা প্রতিভাধর নয় এ কারণে হচ্ছে। অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা পদত্যাগ করছেন। এ বছর বিদেশী কর্মকর্তারা যারা দু’বছর আগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে ১৭ হাজারের অর্ধেক চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। সাবেক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েনডি শেরম্যান বলেন, মোটামুটিভাবে এই প্রশাসনটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির ঐতিহ্যগত গতিময়তাও ধ্বংস করে দিয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার জানিয়েছেন, কিছু কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টের এজেন্ডা সমর্থন করে না। নবেম্বরের দুই তারিখে এক স্বাক্ষাতকারে ট্রাম্পকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি। অক্টোবরে ৯৭ জন বিদেশী কূটনীতিক তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। অবশেষে কংগ্রেস কূটনীতিকদের ভূমিকা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে অক্ষম হয়ে পড়ছে। কেননা প্রেসিডেন্ট ইউএসএইড ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমিয়ে দিচ্ছেন। স্টিফেনসন জানাচ্ছেন, সিনেট সরাসরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আর্থিক বিষয়টি তদারকি করছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি চালু হয়েছে। এটি ঘটত না যদি বিশ্বে মার্কিন স্বার্থ এত খারাপ অবস্থায় না পৌঁছাত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে আমেরিকান ফরেন সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের (এএফএসএ) নতুন জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ লোক চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এটাই ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এএফএসএ’র জরিপে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যারা তাদের জীবন পার করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য। যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় দুই, তিন ও চার তারকা খচিত কর্মকর্তারা। দেখা গেছে, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নাটকীয়ভাবে এই কর্মকর্তাদের হার কমে যাচ্ছে।
×